বিএনপির বালুখেকো ও ভূমিদস্যু নেতাদের বিরুদ্ধে ভূমি কর্মকর্তার মামলা

ফেনী নদী ও মুহুরী নদীর সোনাগাজী অংশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সরকারি জমি দখলের অভিযোগে বিএনপির ১৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমিরাবাদ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় এ মামলা করেন। গতকাল ৩রা সেপ্টেম্বর, বুধবার রাত ১০টার সময় মামলাটি এফআইআর হয় বলে জানিয়েছেন সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বায়েজিদ আকন। এজাহার সূত্রে জানা গেছ, গত ১৪ থেকে ২৯শে আগস্ট পর্যন্ত নবাবপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর ও মোবারকঘোনার বড় ফেনী নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে ড্রেজিং মেশিন ব্যবহার করে বালু-মাটি উত্তোলন ও সরকারি জমি দখল করে মাছের প্রকল্প স্থাপন করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এতে নদীর তীর ভাঙন ও বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, ৯ থেকে ৩০শে আগস্ট পর্যন্ত আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকার কলমির চর থেকে আরেক দল ভেকু মেশিন ব্যবহার করে সরকারি জমি কেটে মাটি উত্তোলন, জমির শ্রেণি পরিবর্তন ও মাছের প্রকল্প স্থাপন করেছে। এজাহার মতে, আসামিরা বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ (সংশোধনী ২০২৩); ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ লঙ্ঘন করেছেন। এ বিষয়ে প্রশাসন একাধিকবার যৌথ অভিযান পরিচালনা করলেও আসামিরা পুনরায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সরকারি জমি দখল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মামলার আসামিগণ হলেন— আমিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, জেলা যুবদলের সহসভাপতি মহিউদ্দিন মহিম,আমিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা নুর আলম, নিজাম উদ্দিন, মিরসরাই বিএনপি নেতা শেখ ফরিদ মেম্বার, জেলা ছাত্রদলের সদস্য শরিফুল ইসলাম রানা মুন্সি, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মাসুদ, আজিজ মেম্বার, শাহজাহান সাজু, হক সাহাব, ছাত্রদল নেতা নুর আলম শামীম, মাসুদ, যুবদল নেতা হায়দার আলী মাসুদ , রিপন, রাজু, মিলন ভূঁঞা ও উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আব্দুল আউয়াল সজীব। এ ব্যাপারে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজিদ আকন বলেন, এ ঘটনায় বুধবার থানায় একটি মামলা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিগ্যান চাকমা বলেন, সরেজমিন অভিযান চালিয়ে বালু ও মাছের ঘের জব্দ করা হয়েছে। কয়েকজনকে সতর্ক করা হয়েছিল। এরপরও বালু উত্তোলন ও খাস জমি যারা দখল করেছে তাদের যাচাই করেই মামলা দেয়া হয়েছে।