পুতিন ও শি চিন পিংয়ের গোপন আলোচনায় উঠে এল মানুষের দীর্ঘায়ু হওয়ার সম্ভাবনা

বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত সামরিক কুচকাওয়াজের সময় চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনকে একসঙ্গে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। সেই সময় গোপনভাবে ধরা পড়েছে তাদের একটি আলোচনার ফাঁকফোকর। অবশ্য, কথোপকথনের পুরো বিষয় সরাসরি শোনা যায়নি। তবে অনুবাদ অনুযায়ী, পুতিন বলছিলেন যে আধুনিক বায়োটেকনোলজি ব্যবহার করে মানুষের আয়ু দীর্ঘায়িত করা সম্ভব। তিনি উল্লেখ করেছেন, অঙ্গ প্রতিস্থাপনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির কারণে মানুষ আরও দীর্ঘজীবী হতে পারে। শি চিন পিং-এর দোভাষী মান্দারিনে অনুবাদ করেছেন, ‘বায়োটেকনোলজির উন্নতির ফলে অঙ্গ বারবার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। ফলে মানুষ আরও তরুণ থাকতে পারবে এবং অমরত্বও অর্জন করা সম্ভব।’ সির দোভাষী আরও যোগ করেন, এই শতাব্দীর মধ্যে মানুষের আয়ু ১৫০ বছরেরও বেশি হতে পারে। পরে পুতিন একই বিষয় রুশ সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, আধুনিক চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন পদ্ধতি, এমনকি অঙ্গ প্রতিস্থাপনও মানুষের জীবনকে দীর্ঘ করতে সাহায্য করছে। বিভিন্ন দেশে মানুষের গড় আয়ু ভিন্ন হলেও এটি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। এই সামরিক কুচকাওয়াজে শুধু চীনা, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার নেতাই নয়, উপস্থিত ছিলেন আরও ২৪ জন রাষ্ট্রনায়ক। এর মধ্যে ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও অন্যান্যরা। আলাদা দৃষ্টিকোণ থেকে, কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার নেতাদের এই একসঙ্গে উপস্থিতি পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি একটি বার্তা হিসেবে দেখা যেতে পারে। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘ভ্লাদিমির পুতিন ও কিম জং উনকে আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা পৌঁছে দেব, যখন তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’