ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের ৩৬ দিনেও মেলেনি সিসিটিভি ফুটেজ

২২ মার্চ, ২০২৩ | ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নবীন ছাত্রী ফুলপরি খাতুনকে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় তাকে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনার ৩৬ দিন পার হলেও সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ফুটেজ উদ্ধার নিয়ে গত ১১ মার্চ তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। সেই কমিটিও ফুটেজ উদ্ধারে অপারগতা প্রকাশ করে। ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্ট ডিভিশনের রিট পিটিশনের আলোকে হল কর্তৃপক্ষ ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। এ বিষয়ে হল প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং কিভাবে ক্যামেরা সিস্টেম আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যায় সে বিষয়ে গত ১১ মার্চ এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসান- উল-আম্বিয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। একইসাথে কমিটিকে ০৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কমিটির দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. আহসান-উল-আম্বিয়া বলেন, আমি সাত কার্যদিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছি। আগে যেটা বলেছি সেটাই যে, রিপোর্টে আলাদা করে কিছুই থাকবে না। ওটা ওখান থেকে রিকোভার করার মতো আর অবস্থা নেই। তারপরও কীভাবে ওটা রিকভার করবো? টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে রিকভার করা যায়নি। এর আগে নির্যাতনে জড়িত পাঁচ ছাত্রীকে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃতরা হলেন, শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স এ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি ও ফিন্যান্স বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। অন্তরা বাদে সকলেই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। তারা সকলেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এই ঘটনায় গত ১লা মার্চ পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।