পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে দ্রুত বৈঠকের সম্ভাবনা নেই : ক্রেমলিন

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন প্রস্তাবে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। বুধবার ক্রেমলিন স্পষ্ট জানিয়েছে, ইউক্রেন ইউরোপীয় দেশগুলোর শান্তিরক্ষী সেনা পাঠানোর ধারণা মানবে না তারা। আরও বলেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে দ্রুত কোনো বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। বুধবার এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেনে ন্যাটো বা পশ্চিমা সেনাদের উপস্থিতি রাশিয়ার কাছে অগ্রহণযোগ্য। তিনি আরও বলেছেন, ন্যাটো বাহিনীর ইউক্রেনে প্রবেশ ঠেকানোই ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া রুশ আক্রমণের অন্যতম কারণ। বর্তমানে ইউক্রেন চাইছে পশ্চিমা সমর্থনে শক্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তা। যাতে ভবিষ্যতে রাশিয়া আর আক্রমণ করতে না পারে। অন্যদিকে রাশিয়ার দাবি, এ সমঝোতার অংশ হিসাবে ইউক্রেনকে পূর্বাঞ্চলের আরও ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ অথবা তার আগেই অল্পসময়ের মধ্যে শান্তিচুক্তির কাছাকাছি আসতে পারে ইউক্রেন ও রাশিয়া। মঙ্গলবার ফক্স নিউজের এক অনুষ্ঠানে তিনি আরও জানান, তিনি এ সপ্তাহে নিউইয়র্কে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি এই সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করব। আমরা রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিদিন আলোচনা করি। মনে হচ্ছে, ভবিষ্যতে এ বিষয়ে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হতে পারে।’ এদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ না হলে রাশিয়ার ওপর আবারও কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের মন্ত্রিসভার বৈঠকপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এটি বিশ্বযুদ্ধ হবে না, তবে এটি একটি অর্থনৈতিক যুদ্ধ হবে। একটি অর্থনৈতিক যুদ্ধ খারাপ হতে চলেছে এবং এটি রাশিয়ার জন্যও খারাপ হতে চলেছে। তবে আমি তা চাই না।’ বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা মোকাবিলায় তহবিল ব্যয়ের পরিবর্তে ৮০০ বিলিয়ন ইউরোর সামরিক ব্যয় অনুমোদনের জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর তীব্র সমালোচনা করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ভাষণে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। লুলা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্প্রদায়ের সব দেশের পুনঃসামরিকীকরণের জন্য ৮০০ বিলিয়ন ইউরো অনুমোদন করেছে, যেখানে আমরা (উন্নয়নশীল দেশগুলো) অর্থ ব্যবহার করব ক্ষুধা নিবারণ বা বন সংরক্ষণের জন্য। তিনি তার দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, জাতিসংঘ যুদ্ধ প্রতিরোধের মূল লক্ষ্যে ব্যর্থ হচ্ছে। জাতিসংঘের সংকটের প্রমাণ হিসাবে তিনি গাজা সংঘাতের দিকে ইঙ্গিত দেন। লুলা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন বলে আসছি, জাতিসংঘের কাঠামোতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন, যাতে এমন কেউ থাকে যিনি এই গণহত্যা ও যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারেন।