ভিকারুননিসায় হিজাব পরায় ছাত্রীদের বের করে দেওয়ার সত্যতা মিলেছে

২৫ আগস্ট, ২০২৫ | ৭:০৫ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার ইংরেজি শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ২২ জন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরিধান করার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছে ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ। আগামী বুধবারের (২৭ আগস্ট) মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দিতে হবে। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযোগ ওঠা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম বলেন, আমরা কোনো ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। সবাই নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবে। আমি ও আমার শিক্ষকরা ধর্মীয় বিষয় মেনে চলেন। যে অভিযোগ উঠেছে সেটার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা এ নিয়ে কমিটি করে দেবো। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে, রোববার (২৪ আগস্ট) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রভাতী শাখার ষষ্ঠ শ্রেণির ২০ থেকে ২২ জন শিক্ষার্থী হিজাব পরে আসেন। ওই অবস্থায় সব ক্লাসে তারা উপস্থিত থাকলেও কোনো শিক্ষকই তাদের হিজাব নিয়ে কোনো আপত্তি করেননি। কিন্তু শেষ পিরিয়ডের ইংরেজি শিক্ষক ফজিলাতুন নাহার শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে বের করে দেন। এসময় তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয় বলেও জানান অভিভাবকরা। একাধিক অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বসুন্ধরা শাখায় ষষ্ঠ শ্রেণির তাদের মেয়েরা অধ্যয়ন করছেন। প্রতিদিনের মতো এদিনও তারা হিজাব পরে ক্লাসে গেছেন। পরে বাসায় ফিরে তারা জানান, হিজাব পরার কারণে তাদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মতো কেন হিজাব পরে এসেছে এ জন্য তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করা হয়। এমনকি হিজাব পড়ায় তাদের জঙ্গির মতো এমন মন্তব্য করার অভিযোগও করেন একজন অভিভাবক। বিষয়টি জানতে চাইলে শিক্ষক ফজিলাতুন নাহার বলেন, আমাদের স্কুলের একটা ড্রেস কোড আছে। এখানে কেউ পর্দা করতে হলে সাদা স্কার্ফ পরে আসতে হবে। কিন্তু অনেকেই ওড়না পরে এসেছে। এ জন্য তাদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। অন্য ক্লাসের শিক্ষকরা এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিলেও আপনি কেন নিলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্য শিক্ষকরা কী করল, সেটা তাদের বিষয়। কিন্তু স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী যারা আসবে না, তাদের তো আমাদেরই শেখানোর দায়িত্ব। আমি তাদের শেখানোর জন্যই এই কাজ করেছি। এ বিষয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম বলেন, আমি বসুন্ধরা শাখাপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।