টেকনাফ সীমান্তে ফের গোলার শব্দ, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর বিজিবি

কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের নাফ নদীর ওপার মিয়ানমারে ফের গোলার শব্দ শোনা গেছে। শুক্রবার রাত ১১টা থেকে শুরু হওয়া গোলার শব্দ শনিবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার হোয়াইক্যং সীমান্তে মিয়ানমারে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পায় সীমান্তের লোকজন। এদিকে জানা গেছে, এখনও মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার ৬২ জন রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করেছে বিজিবি। এখনও সীমান্তের ওপারে হাজরো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান। বিজিবির অধিনায়ক বলেন, ‘কিছু লোক সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা কাউকে ঢুকতে দিচ্ছি না। যেসব পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করছে, সেখানে আমরা টহল বৃদ্ধি করেছি। পাশাপাশি গেল রাতে সীমান্তের ওপার থেকে গোলার শব্দের বিষয়টি জেনেছি। কিন্তু সেটি আমার ইউনিটের বাইরে।’ স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, সীমান্তের ওপারে কুমিরখালী, শীলখালী ও সাইডং এলাকায় গোলাগুলি চলছিল। এতে সীমান্তের বসবাসকারীরা ভয়ভীতির মধ্য ছিলেন। জানতে চাইলে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা চৌধুরী লালু বলেন, ‘গত রাত থেকে আজ ভোর পর্যন্ত থেমে থেমে সীমান্তের ওপারে কুমিরখালী, শীলখালী ও সাইডং এলাকা থেকে ব্যাপক গোলাবারুদের শব্দ পাওয়া গেছে। ফলে সীমান্তের কাছাকাছি চিংড়ির প্রজেক্টে থাকা লোকজন ভয়ে পালিয়ে এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। ফলে আবার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা রয়েছে।’ উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা মো. হোসাইন বলেন, ‘রাখাইনে এখনও অমানবিক নির্যাতন বন্ধ হয়নি। ফলে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসা বন্ধ হচ্ছে না। মূলত প্রাণে বাঁচতে তারা এপারে পালিয়ে আসার চেষ্টা করছে। সীমান্তে বেশকিছু রোহিঙ্গা জড়ো হচ্ছে বলে আমারও জেনেছি স্বজনদের কাছ থেকে।’ সীমান্তে গোলাগুলির বিষয়টি স্থানীয় মাধ্যমে জেনেছেন উল্লেখ করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘সীমান্তে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্তক অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে স্থল-জল পথে বিজিবি-কোস্ট গার্ড শক্ত অবস্থানে রয়েছে।’