গাজা সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করল মিসর

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পাশে নিজেদের সীমান্তে নজিরবিহীনভাবে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে মিসর। ইসরায়েল গাজার রাজধানী গাজা সিটিতে ব্যাপক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন প্রেক্ষাপটে কায়রো আশঙ্কা করছে, হাজার হাজার গাজাবাসী হয়তো মিসরের উত্তর সিনাই অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারেন। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) মিডল ইস্ট আইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিসরের এক সামরিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, বর্তমানে উত্তর সিনাইয়ে প্রায় ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। এটি ১৯৭৯ সালের মিসর-ইসরায়েল শান্তিচুক্তির আওতায় নির্ধারিত সেনা সংখ্যার তুলনায় বহুগুণ বেশি। সূত্রটি বলেছে, “গত কয়েক বছরের মধ্যে আমরা মিসরের সেনাবাহিনীকে এত উচ্চমাত্রার সতর্কাবস্থায় কখনো দেখিনি।” কর্মকর্তা আরও জানান, প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল-সিসির প্রত্যক্ষ নির্দেশে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিল ও জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকের পরই তিনি সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করতে এবং গাজার জনগণকে স্থানচ্যুত করতে চায়। কিন্তু মিসর এই পরিকল্পনা কোনোভাবেই সমর্থন করে না। বর্তমানে সিনাইয়ের বিভিন্ন ঘাঁটিতে মিসরের সেনারা অবস্থান নিয়েছে। বিশেষত গাজা সীমান্তবর্তী ‘জোন সি’ এলাকায় ভারী সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে সাঁজোয়া যান, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ বাহিনী ও এম-৬০ যুদ্ধট্যাংকও রাখা হয়েছে। মিসরীয় সূত্র জানিয়েছে, বাড়তি সেনা মোতায়েনের বিষয়টি ইসরায়েলকে জানানো হয়েছে। কায়রো তাদের জানিয়েছে- এটি কেবল আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা। তবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যদি ইসরায়েল মিসরের ভেতরে কোনো হামলা চালায়, তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। এদিকে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি স্পষ্ট করেছেন, গাজার জনগণকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনায় তারা কোনোভাবে সহায়তা করবে না, বরং যে কোনো মূল্যে তা প্রতিরোধ করবে। সূত্র : মিডল ইস্ট আই