পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের উদ্যোগ ট্রাম্পের

১৮ আগস্ট, ২০২৫ | ৬:৫৮ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে আগামী সপ্তাহেই একটি ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস ও সিএনএন। খবরে বলা হয়েছে, সোমবার হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হলে আগামী শুক্রবারই এ বৈঠক আয়োজন করা হতে পারে। এর আগে শুক্রবার আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে সরাসরি বৈঠক হয়। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটি ছিল দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। ট্রাম্প এ বৈঠককে ‘উষ্ণ’ আখ্যা দিলেও, পুতিন বলেন এটি ছিল ‘খোলামেলা’ ও ‘গঠনমূলক’। আলাস্কা বৈঠকের পর ট্রাম্প জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন, যা গণমাধ্যম ‘সহজ নয়’ বলে বর্ণনা করেছে। ঐ আলোচনায় ইউরোপীয় নেতারাও যুক্ত ছিলেন। এ সময় ট্রাম্প জানান, তিনি দ্রুত পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে একত্রে বৈঠক আয়োজন করতে চান। সিএনএন জানায়, জেলেনস্কির ওয়াশিংটন সফরে অন্তত একজন ইউরোপীয় নেতা যোগ দিতে পারেন, তবে কে হবেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। শনিবার ট্রাম্প তার ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে জেলেনস্কির আসন্ন বৈঠক নিশ্চিত করে জানান, তিনি পুতিনের সঙ্গেও পরবর্তী বৈঠক করতে চান। তার মতে, লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তি; অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নয়, কারণ সেগুলো সাধারণত টিকে না। মস্কো বলছে, স্থায়ী সমঝোতার জন্য কিয়েভকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে, সামরিকীকরণ কমাতে হবে এবং বর্তমান ভূখণ্ডগত বাস্তবতা স্বীকার করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিমিয়া, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া—যেগুলো ২০১৪ ও ২০২২ সালের গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তবে জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তিনি কোনো ভূখণ্ড ছাড় দেবেন না। ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, জেলেনস্কির উচিত ‘চুক্তি করা’, কারণ পুতিনও ‘এটা চান’। পাশাপাশি ইউরোপকেও ‘আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে’ আহ্বান জানান তিনি। পুতিন জানিয়েছেন, তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে আপত্তি করেন না। তবে তার আগে বৃহত্তর সমঝোতার দিকে অগ্রগতি দরকার। পাশাপাশি মস্কো প্রশ্ন তুলেছে, যুদ্ধকালীন আইন বলবৎ থাকায় নতুন নির্বাচন হয়নি—তাই মেয়াদোত্তীর্ণ প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেলেনস্কির আন্তর্জাতিক চুক্তি করার বৈধতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সূত্র: আরটি