চীনে ‘কুৎসিত পণ্যের’ প্রদর্শনী, তরুণদের ভিড়

১৭ আগস্ট, ২০২৫ | ৫:০৬ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের হাংঝৌ শহরে চলছে এক অভিনব প্রদর্শনী। নাম দেয়া হয়েছে ‘এরা অব আগলিস হ্যাজ অ্যারাইভড’ বা ‘কুৎসিত সৌন্দর্যের যুগ এসে গেছে’। এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে এমন সব অদ্ভুত, হাস্যকর এবং দেখতে অপ্রচলিত পণ্য, যেগুলো চীনের অনলাইন বাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, এই প্রদর্শনী আয়োজন করেছে আলিবাবা মালিকানাধীন ই-কমার্স জায়ান্ট টাওবাও। এ বছর প্রথমবারের মতো আয়োজন করা এই প্রদর্শনীতে জায়গা পেয়েছে ৩০০টিরও বেশি পণ্য, যেগুলো টাওবাওয়ের বার্ষিক ‘আগলি স্টাফ কম্পিটিশন’ বা ‘আগলিস অ্যাওয়ার্ডস’-এ বিজয়ী কিংবা মনোনীত হয়েছে। প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে আছে বাঁধাকপির পাতার মতো দেখতে স্যান্ডেল, অদ্ভুত আকৃতির বিড়ালের বালিশের স্তূপসহ নানা অপ্রচলিত জিনিসপত্র। এ কারণে প্রদর্শনী দেখতে প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজারেরও বেশি দর্শক ভিড় করছেন। প্রদর্শনীর প্রকল্প প্রধান ইউ হু জানান, ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই ধরনের “কুৎসিত” পণ্য বিক্রি হয়ে গেছে প্রায় ১০ কোটি ইউয়ানেরও বেশি যা প্রায় ১৩.৯৪ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে এ খাতের বিক্রি দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ হারে বাড়ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। কেন এত জনপ্রিয় হচ্ছে কুৎসিত পণ্য: বিশেষজ্ঞদের মতে, তরুণ প্রজন্ম এইসব পণ্যের মূল ক্রেতা। তারা সাধারণ সৌন্দর্যের নিয়ম ভেঙে নিজের ব্যক্তিত্ব ও স্বকীয়তা প্রকাশ করতে চায়। পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে তারা খুঁজছে তুলনামূলক সস্তা কিন্তু আলাদা ধাঁচের কিছু, যা বলা হচ্ছে “ইমোশনাল কনজাম্পশন” বা আবেগঘন ভোগব্যয়। প্রকল্প প্রধান ইউ হু বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আবেগভিত্তিক ভোগব্যয় এক ধরনের ‘ব্লু ওশান’ হয়ে উঠেছে। এটি ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে এবং নতুন বাজার তৈরি করছে। এই ট্রেন্ডের সবচেয়ে পরিচিত উদাহরণ হলো ‘লাবুবু’ নামের আগলি-কিউট অ্যাক্সেসরিজ। বড় বড় চোখ আর দাঁত বের করা হাসির জন্য এটি তরুণদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়। শুধু তাই নয়, রিহানা ও ডেভিড বেকহামের মতো আন্তর্জাতিক তারকারাও এর ভক্ত। অনেকে মনে করছেন, এই প্রদর্শনী কেবল অদ্ভুত জিনিস দেখার আয়োজন নয়; বরং এটি সৌন্দর্যের সংজ্ঞা নিয়ে নতুন করে ভাবার সুযোগ।