‘চাঁদা তুললে পুরস্কার, ধরা পরলে বহিষ্কার ও ভাইরাল হলে গ্রেপ্তার’

চাঁদা তুললে পুরস্কার, ধরা পরলে বহিষ্কার ও ভাইরাল হলে গ্রেপ্তার– এই নীতিতে বিএনপি চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে কিশোরগঞ্জের আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এক গণ–সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি। রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনের দাবিতে এই গণ-সমাবেশের আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ জেলা ইসলামী আন্দোলন। এতে দলটির কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমির প্রধান অতিথি ছিলেন। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে পিআর পদ্ধতিতে। কারণ দেশের ৭১ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। আগামী নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে একটি ভোট বাক্স থাকবে। ইসলামের পক্ষের সবাই ওই বাক্সে ভোট দেবে।’ গণ-সমাবেশে ফয়জুল করীম বিএনপির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘বিএনপি আজ সারা দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা সিলেটে শত শত কোটি টাকার সাদা পাথর লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। তারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করতে কেবল যেনতেন নির্বাচন চাচ্ছে। তারা দেশে আরেক ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা চাপাতে চায়। চাঁদা তুললে পুরস্কার, ধরা পরলে বহিষ্কার ও ভাইরাল হলে গ্রেপ্তার– এই নীতি নিয়ে চলছে।’ আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান কেবল নির্বাচনের জন্য হয়নি। আমরা সংস্কার, অপরাধিদের বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সব দল সংসদে যেতে পারবে। কাজেই পিআর পদ্ধতির বিকল্প নাই।’ গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদার। এতে আরও বক্তব্য দেন– ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন, ফরিদপুরের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, আজিজুর রহমান জার্মানিসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।