কুষ্টিয়া খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে নৈশপ্রহরীর লাশ উদ্ধার

কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে আলম হোসেন (৫৫) নামে এক নৈশপ্রহরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে দরজা ভেঙে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত আলম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহকোলা গ্রামের মৃত শহর আলী শেখের ছেলে। অসুস্থতাজনিত কারণে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের ভাই এনামুল হক বলেন, প্রতিদিনের মতো সোমবার সন্ধ্যায় আলম খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিসে যান। মঙ্গলবার সকালে আমরা জানতে পারি, তিনি ঘুম থেকে উঠছে না। এরপর আমরা ওই অফিসে যাই। দরজা ভেঙে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় কারো প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আল-ওয়াজিউর রহমান বলেন, সকাল ৮টার দিকে ঝাড়ুদার আজিজুর রহমান অফিসে আসেন। এ সময় নৈশপ্রহরী আলমকে ডাকাডাকি করলেও তিনি সাড়া দিচ্ছিলেন না। বিষয়টি আমাদের জানানোর পর আমরা পুলিশ ও নৈশপ্রহরীর পরিবারকে খবর দিই। এরপর ৯টার দিকে দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না। ঘুমন্ত অবস্থায় অসুস্থতাজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেননি। স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার দাবি করছে।