আরব সাগরে ‘মুখোমুখি’ ভারত-পাক, মিসাইল লঞ্চ নৌসেনার

১১ আগস্ট, ২০২৫ | ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের তিন সামরিক বাহিনীই পুরোদমে প্রস্তুত ছিল পাকিস্তানে হামলা করতে। চারদিনের সংঘাতে ভারতীয় সেনা এবং ভারতীয় বায়ুসেনা সম্মুখসমরে নেমেছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। তবে ভারতীয় নৌসেনা কোনও হামলায় অংশ নেয়নি। পরে ১০ মে প্রবল চাপে পড়ে ভারতকে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান। নিজেদের নীতিতে অবিচল থেকে তাতে রাজি হয়ে যায় ভারত। এই আবহে অপারেশন সিঁদুরে সরাসরি কোনও অংশ নেয়নি নৌবাহিনী। তবে মুনিরের হুমরিক আবহে এবার সাগরে যুদ্ধ অনুশীলন শুরু নৌসেনার। জানা গিয়েছে, আরব সাগরে গুজরাট উপকূলের অদূরেই ভারতীয় নৌসেনা আজ এবং আগামিকালের জন্য নোটাম জারি করেছে। সেখানে মিসাইল লঞ্চের অনুশীলন চালাবে তারা। এদিকে পাকিস্তানও এই দুদিন নোটাম জারি করেছে। ভারতের নৌসেনা যেখানে অনুশীলন করছে, তার কাছে পাকিস্তানের নৌবাহিনীও অনুশীলন করতে চলেছে। এদিকে সম্প্রতি জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের শেষে ১০ মে সকালে ভারতীয় নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠীর সঙ্গে কথা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অপারেশন সিঁদুরের সময় যে পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেজন্য ভারতীয় সেনার প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এবং ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিংকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠীর দিকে তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার মুখের গ্রাস কেড়ে নিলাম আমি। আপনি ফের সুযোগ পাবেন।’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, করাচি বন্দরে ব্রহ্মোস মিসাইল ছোড়ার জন্য প্রস্তুত ছিল নৌসেনা। পরে শেষ মুহূর্তে করাচির ওপর হামলা না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নৌসেনাকে। এদিকে আমেরিকায় দাঁড়িয়ে মুনির ভারতকে হামলা করার হুমকি দিয়েছেন। এই আবহে ভারতীয় নৌসেনার এই যুদ্ধ অনুশীলন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। দুই দেশের নৌসেনার রণতরীর মধ্যে দূরত্ব মাত্র ৬০ কিমি থাকার কথা।