হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ

১০ আগস্ট, ২০২৫ | ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রদলের হল কমিটি ঘোষণার পর বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। তারা আবাসিক হলের অভ্যন্তরে সকল প্রকার রাজনীতি নিষিদ্ধ ও হল কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে ‘হল পলিটিকসের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; হল পলিটিকসের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও; ওয়ান টু থ্রি ফোর, হল পলিটিকস নো মোর’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দীন আহমদ হল থেকে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি সব হল প্রদক্ষিণের পর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান। এ সময় শিক্ষার্থীরা তার কাছে ছয় দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ, ভবিষ্যতে হলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থী এবং গণরুম ও গেস্টরুমে ‘র‍্যাগিং’ সংস্কৃতিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শাস্তির সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন, অতি দ্রুত হল সংসদ গঠন করে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক সংগঠনের যেকোনো উপহারসামগ্রী একমাত্র হল প্রশাসনের মাধ্যমে প্রদান এবং এতে ওই সংগঠনের নাম বা কোনো চিহ্ন ব্যবহার না করা, হলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগতদের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ, হলের মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, ‘আমরা বিগত বছরগুলোয় দেখেছি যে, হল পলিটিকসের মাধ্যমে ছাত্রলীগ কীভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল। আমরা চাই না নতুন করে আবার সেই পুরনো কালচার ফিরে আসুক। আমরা চাই, আমাদের হলগুলোয় সকল প্রকার ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে হবে এবং অবিলম্বে সকল রাজনৈতিক দলের ঘোষিত হল কমিটিগুলো বাতিল করতে হবে।’ বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সাকিব বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি চাইলেও হলে কোনো রাজনীতি চাই না। কেননা, হলে রাজনীতি ফিরলে আবারও গেস্টরুম, গণরুম ফিরবে এবং ক্যাম্পাসে আধিপত্যের রাজনীতি ফিরে আসবে। তাই আমাদের দাবি যেকোনো মূল্যে হলের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘আমি তো হুট করে একটা সিদ্ধান্ত দিয়ে দিতে পারি না। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে আমরা রোববার একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করব। আলোচনা শেষে একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত দিতে পারব বলে আশা রাখি।’