পবিপ্রবির দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

৯ আগস্ট, ২০২৫ | ১০:৪৬ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) লোন শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর লোন কিস্তির টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পেনশন সেলের উপ-পরিচালক মো. রাজিব মিয়া এবং একই শাখার ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট আবু ছালেহ মো. ইছা। অভিযোগে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয়ের জন্য লোন নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে কিস্তির টাকা নিয়ে ভূয়া জমা স্লিপ তৈরি করে তারা ব্যাংকে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। হিসাব শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জিপিএফ তহবিলের ১০% কর্তন থেকে রূপালী ব্যাংক পবিপ্রবি শাখায় (হিসাব নং ৮৩০৫) এই লোন কার্যক্রম চালু হয়। নিয়ম অনুযায়ী, লোনগ্রহীতারা কিস্তি পরিশোধ করলেও অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে জমার নামে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অডিট সেলের তদন্তে লোন ফান্ডের হিসাবের গরমিল ধরা পড়ে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা নিজেদের দায় স্বীকার করে ইতোমধ্যে ৩২ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, উপ-রেজিস্ট্রার (প্লানিং) মো. খাইরুল বাসার মিয়া (নাসির) ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, পরিবহন শাখার সেকশন অফিসার সবুর খান ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, পরিবহন শাখার হেলপার আবু জাফর সারে ৬ লাখ টাকা, ফটো মেশিন অপারেটর শামীম খান ৩ লাখ টাকা, অডিট সেলের পরিচ্ছন্নতাকর্মী ফরিদা বেগম ২ লাখ টাকা, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার আলম ৭৬ হাজার ৭২৪ টাকা, বাজেট শাখার অফিস সহায়ক মাসুদ ৩ লাখ টাকা—এভাবে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর কিস্তির টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। নাইটগার্ড ইউনুস বলেন, আমরা বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছি কিন্তু জমা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি দেখবেন। অভিযুক্ত আবু ছালেহ ইছা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হিসাবের গরমিল হয়েছে, যা শীঘ্রই ঠিক করা হবে। কারও টাকা যাবে না। অপর অভিযুক্ত রাজিব মিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি; তার অফিসে গিয়ে পাওয়া না গেলে ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আর্থিক হিসাবে অসামঞ্জস্য ধরা পড়ায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্তরা ইতোমধ্যে ৩২ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইখতেক্ষার আহম্মেদ কোনো মন্তব্য না করে বিষয়টি এড়িয়ে যান। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের কৌশল নেওয়া হয়েছে। টাকা ফেরত পাওয়ার পর কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।