বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ বাক্স মাথায় পড়ে শিশুর মৃত্যু

৮ আগস্ট, ২০২৫ | ১১:২৮ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

গাজায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণের বাক্স মাথায় পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ফিলিস্তিনি শিশুর। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ গাজায় খান ইউনিসে আকাশ থেকে ফেলা ত্রাণ সংগ্রহ করতে যায় সাইদ আবু ইউনিস। কিন্তু বিমান থেকে ফেলা সাহায্য বাক্স সরাসরি তার ওপর পতিত হয়। এরপর তাকে নাসের হাসাপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা সাইদকে মৃত ঘোষণা করেন। আলজাজিরা। গাজায় ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর ত্রাণের বাক্স পড়ে প্রাণহানির ঘটনা এটাই প্রথম নয়। কয়েক দিন আগে, একই ভাবেই ত্রাণের বাক্স মাথায় পড়ে একজন নার্সও মারা যান। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলছে, এ কৌশলটি অদক্ষ এবং গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং অন্যান্য সম্পদ সরবরাহ করতে অক্ষম। ২০২৪ সালের অক্টোবরেও দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসিতে ত্রাণ বহনকারী প্যারাসুটটি তাঁবুতে পড়ে ৩ বছর বয়সি সামি মাহমুদ আইয়াদ নিহত হন। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রধান সিন্ডি ম্যাককেইন বুধবার বলেছেন, ইসরাইলের অবরোধের কারণে এবং ক্ষুধার তীব্রতা বিবেচনা করে বিশ্ব শুধু গাজায় খাদ্য আকাশপথে ফেলে রাখা চালিয়ে যেতে পারে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, ‘আজ ৫ লাখ মানুষ অনাহারে রয়েছেন। তাদের কাছে খাদ্য পৌঁছানোর একমাত্র উপায় হলো স্থলপথ।’ এদিকে গাজায় ত্রাণের নামে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড চলছে বলে জানিয়েছে গাজা (কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক), ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘শ্বাসরোধকারী ভিড়, সহিংস লুটপাট এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে।’ আরও পড়ুন গাজা সীমান্তে ইসরাইলের সেনা সমাবেশ, বড় অভিযানের ইঙ্গিত গাজা সীমান্তে ইসরাইলের সেনা সমাবেশ, বড় অভিযানের ইঙ্গিত জুন এবং জুলাইয়ে গাজার আল-আত্তার এবং আল-মাওয়াসি এলাকায় অবস্থিত দুটি প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রে ১৩৮০ জন আহত ব্যক্তি এবং ২৮ জনের মৃতদেহ পেয়েছে- তারা ত্রাণ আনতে গিয়েছিলেন। চলমান পরিস্থিতিতে গাজা উপত্যকায় খাবারের অভাবে প্রায় ২০০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯৬ জনই শিশু। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ তথ্য দিয়েছে। বৃহস্পতিবার হাসপাতালগুলোয় ‘ক্ষুধা ও অপুষ্টি’র কারণে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুটি শিশুও আছে। এখন পর্যন্ত গাজায় খাবারের অভাবে মোট মৃত মানুষের সংখ্যা ১৯৭-তে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, জুলাইয়ে গাজায় তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা ৫ বছরের কম বয়সি শিশুর সংখ্যা ছিল প্রায় ১২ হাজার, যা এক মাসে সর্বোচ্চ।