ঢাকায় পৌঁছেছেন পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার ইমরান হায়দার

আজ শুক্রবার ঢাকায় পৌঁছেছেন পাকিস্তানের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। তিনি সপরিবারে ঢাকায় পৌঁছেছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইমিগ্রেশনসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র। বাংলাদেশে দায়িত্ব পাওয়ার আগে মিয়ানমারে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত ছিলেন এই কূটনীতিক। তিনি এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহম্মেদ মারুফের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। সৈয়দ আহমেদ মারুফ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় নিযুক্ত হয়েছিলেন। গত মে মাসে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলবের পর তিনি দেশে ফিরে যান। তার এই চলে যাওয়া নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে যে, নারী বন্ধুসহ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে ফিরতে হয়েছে তাকে। গোয়েন্দা সূত্রমতে, আহমেদ মারুফ তিন দিনের সফরে কক্সবাজারে গিয়েছিলেন সরকারি প্রটোকল ছাড়া। সে সময় ভাইরাল হওয়া বিমানবন্দরের একটি ছবিতে দেখা যায়, সৈয়দ মারুফের সঙ্গে রয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বন্ধু আজহার মাহমুদ ও এক নারী। সূত্রমতে, হাইকমিশনার কক্সবাজারের উখিয়ায় অবস্থিত হোটেল সি-পার্লে ওঠেন। সেখানে সেই নারীসহ সঙ্গে ছিলেন বন্ধু আজহার মাহমুদ। গত ৯ মে নিজ গাড়ি করে বন্ধু ও সেই নারীসহ ঘুরে বেড়ান আহম্মেদ মারুফ। কক্সবাজারে অবস্থান করা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশ্নের মুখে পড়েন তারা। তখন তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার গিয়েছেন। সে সময় কক্সবাজারে একসঙ্গে ঘোরাঘুরির বিষয়ে জানতে সেই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘কক্সবাজার গিয়ে তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে হোটেল লবিতে। পূর্বপরিচিত হিসেবে একসঙ্গে কফি খেয়েছি। তা ছাড়া আমি আমার মতো করেই শনিবার বিকেলের ফ্লাইটে ঢাকায় চলে আসি। পাকিস্তানের হাইকমিশনার কবে গেছেন বা কবে ফিরেছেন, তাও আমি জানি না।’ তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সঙ্গে আমার কোনো অনৈতিক সম্পর্ক নেই; বরং রয়েছে সুসম্পর্ক।’ গোয়েন্দা সূত্রমতে, পাকিস্তানের হাইকমিশনারের কক্সবাজার ভ্রমণের সময়ই তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনের তলবের ভিত্তিতে জরুরিভাবে ঢাকায় ফেরেন সৈয়দ আহম্মেদ মারুফ। হাইকমিশনারের ভ্রমণ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সন্দেহ হলে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। বিষয়টি পাকিস্তান সরকার অবধি পৌঁছায়। পরে তাকে জরুরিভাবে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়।