নওগাঁ জেলাজুড়ে “পুলিশ হত্যার বিচার চাই” পোস্টার: জেলা জুড়ে সোচ্চার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা

৬ আগস্ট, ২০২৫ | ৭:১৭ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

নওগাঁ জেলার শহর থেকে গ্রাম—প্রতিটি প্রান্তে “পুলিশ হত্যার বিচার চাই” দাবি সম্বলিত পোস্টার সারা জেলার দেয়ালজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এই দাবির প্রচারে সামনে এসেছে একটি সক্রিয় প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলা বাঙালি নওগাঁ’, যা গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সংঘটিত বর্বরোচিত বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের গণহত্যার ঘটনায় আজও ক্ষোভে ফুঁসছে নওগাঁর মানুষ। পুরো জেলার জনগণ এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার চায়। এই গণপ্রচারণার নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ‘বাংলা বাঙালি নওগাঁ’ প্ল্যাটফর্মের সদস্য তনয় ইমরোজ আলম বলেন, “নওগাঁ কেবল একটি জেলা নয়, এটি কৈবর্ত বিপ্লবীদের ভূমি — দীপ্যক, রুদ্রক, ভীমের উত্তরসূরিরা আজও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে জানে। যারা বাংলাদেশ পুলিশকে হত্যা করেছে, তারা আসলে দেশের আইন-শৃঙ্খলার ভিতকে আঘাত করেছে। আমরা তা মেনে নেব না। নওগাঁর জনগণ বিচার চায়, আর এই বিচার হতেই হবে।” তিনি আরও বলেন, “পুলিশ বাহিনী দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতীক। যারা তাদের হত্যা করেছে, তারা রাষ্ট্রের শত্রু। নওগাঁ থেকে সেই রাষ্ট্রদ্রোহীদের বিরুদ্ধে নতুন প্রজন্ম জেগে উঠেছে।” আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান মামুন এই উদ্যোগের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে বলেন, “নওগাঁ আওয়ামী পরিবার সম্পূর্ণভাবে এই ন্যায্য দাবির পাশে আছে। আমরা সবসময় সতর্ক, সংগঠিত এবং ঐক্যবদ্ধ। যারা বাংলাদেশ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, তারা আসলে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে আঘাত করেছে। তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।” তিনি আরও বলেন, “নওগাঁ জেলা আওয়ামী পরিবার মাঠে আছে, থাকবে। আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশনা অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি চালিয়ে যাবো, এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে জয়ী হবো।” স্থানীয় জনসাধারণ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শিক্ষক সমাজ, ও তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা একযোগে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, এই বিচার শুধু পুলিশের জন্য নয়, বরং দেশের সকল নিরাপরাধ নাগরিকের নিরাপত্তার প্রতীক হয়ে দাঁড়াবে। উল্লেখ্য যে, গত বছর ৫ই আগস্ট দুপুরের পর বিভিন্ন থানায় হামলা চালানো হয়। থানায় অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি চলে অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ ও পুলিশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সরঞ্জাম লুটপাট। ৩রা আগস্ট কয়েকটি থানায় এবং ৪ঠা আগস্ট থেকে একযোগে দেশের প্রায় সব থানায় আক্রমণ করা হয়। ৫ শতাধিক থানার মধ্যে ৪৩৫টি থানা হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের শিকার হয় বলে গণমাধ্যমে বলা হয়েছে। হত্যার শিকার হয়েছেন অসংখ্য পুলিশ সদস্য। সরকারবিরোধী আন্দোলনে রীতিমত টার্গেট করা হয়েছে পুলিশকে। ডিউটিতে থাকুক বা ছুটিতে, পুলিশ সদস্য শোনামাত্র হামলা চালানো হয়। হতাহত পুলিশ পরিবারের সদস্যদের কথায় জানা যায়, পুলিশে চাকরি করে বলে যারা এলাকায় পরিচিত ছিলেন, খুঁজে খুঁজে তাদের বাড়িঘরেও হামলা এবং অনেক জায়গায় খুঁজে পেয়ে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।