প্রতিশোধ আর বাঁচার আকাঙ্ক্ষা মিলেমিশে চলবে এবার

অ্যাভাটারপ্রেমীদের জন্য এ যেন এক দারুণ চমক। তিন বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্রকাশ হলো ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’-এর অফিসিয়াল ট্রেলার। গত শুক্রবার মার্ভেলের ‘দ্য ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপস’ সিনেমার মধ্যবিরতিতে দেখানো হয়েছিল ট্রেলারটি। যদিও অনলাইনে তা আগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছিল, তবে গত বুধবার সন্ধ্যায় প্রযোজনা সংস্থা ডিজনি ইউটিউবে মুক্তি দিয়েছে ট্রেলারটির অফিসিয়াল ভার্সন। নির্মাতা জেমস ক্যামেরুনের নতুন এই অধ্যায়ে প্যান্ডোরার চিরচেনা জগৎ বদলে গেছে। ‘দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ সিনেমায় যেমন ছিল সমুদ্র ও ম্যাটাকাইনা জাতির আবির্ভাব, তেমনি ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ সিনেমায় আবির্ভূত হয়েছে ভয়ঙ্কর অ্যাশ পিপল। আগ্নেয়গিরির পাদদেশে বসবাসকারী এই জাতি আগুন নিয়ন্ত্রণে পারদর্শী, হিংস্র এবং ক্ষমতালোভী। তাদের নেত্রী ভারাং– যার হাতে পুড়ে যায় জ্যাক সুলি ও নেতিরিদের শান্ত আবাসভূমি। ভয়ঙ্কর এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘গেম অব থ্রোনস’-খ্যাত ওনা চ্যাপলিন। প্রথম দুই কিস্তির মতোই জ্যাক সুলি ও নেতিরি চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্যাম ওয়ার্থিংটন ও জো সালদানা। তবে এবার তাদের সামনে নতুন এক শত্রু, নতুন এক চ্যালেঞ্জ। মার্কিন একাধিক গণমাধ্যমে জেমস ক্যামেরুন জানিয়েছেন, ‘এই পর্বে দর্শক প্যান্ডোরার একেবারে নতুন দিক দেখবে। আগুন, ছাই আর আবেগে মোড়ানো এই কাহিনি হবে আরও গভীর, আরও মানবিক। আমরা এমন এক অ্যাডভেঞ্চারের জগতে যাচ্ছি, যেখানে ভালোবাসা, হারানো, প্রতিশোধ আর বাঁচার আকাঙ্ক্ষা মিলেমিশে যাবে।’ নির্মাতা আরও জানান, ‘দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ ও ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ আসলে একই গল্পের দুই অংশ। প্লট বড় হয়ে যাওয়ায় গল্পটিকে দু’ভাগে ভাগ করতে হয়েছে। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া প্রথম ‘অ্যাভাটার’ ও ২০২২ সালের ‘দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। এই দুই সিনেমা মিলে বিশ্বজুড়ে আয় করেছে ৫.২ বিলিয়ন ডলার। ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’-এর মাধ্যমে আবারও বক্স অফিস কাঁপাতে প্রস্তুত অ্যাভাটার ফ্র্যাঞ্চাইজি। প্যান্ডোরার ছাইয়ের নিচে কী আছে, সেটা জানতে অধীর আগ্রহে দিন গুনছেন দর্শক। চলতি বছরের ১৯ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে এই তৃতীয় কিস্তি। এরপর ২০২৯ ও ২০৩১ সালে আসবে আরও দুটি পর্ব।