পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে পালাতে গিয়ে পুকুরে ডুবে নিহত গুপ্ত শিবিরের কর্মী, ওসির গ্রেপ্তার দাবি

পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালাতে গিয়ে পুকুরে ডুবে সিজু মিয়া নামে গুপ্ত সংগঠন শিবিরের এক সন্ত্রাসী নিহত হয় গাইবান্ধার সাঘাটা থানা এলাকায়। এ ঘটনা কেন্দ্র করে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামী ও তাদের গুপ্ত সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ। ২৪শে জুলাই, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাঘাটা থানা ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জেরে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত ও তাদের গুপ্ত সন্ত্রাসী সংগঠনের কর্মীরা বিক্ষোভ, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধের পাশাপাশি পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাওসহ একের পর এক প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়ে জনভোগান্তির সৃষ্টি করছে। শনিবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধায় জামায়াত-শিবিরের উগ্রবাদী কর্মীরা “সিজু হত্যার” বিচারের দাবিতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। এতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন। আজ সকালে নাগরিক সমাজের নাম দিয়ে জামায়াত-শিবিরের গুপ্ত কর্মীরা বোনারপাড়া উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন করে। এতে বক্তব্য দেন স্থানীয় জামায়াত নেতা ও সাঘাটা ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক এনামুল হক সরকার, ইখতিয়ার আহম্মেদ সুজন, শিবিরের থানা সভাপতি সাজেদুর রহমান, ইআবার থানা শাখা সেক্রেটারি সুরুজ্জান, গোলাম রাব্বি প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সিজু যদি অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেত। কিন্তু সে পুকুরে পড়ে যাওয়ায় তাকে উদ্ধার না করায় সে মারা গেছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাঘাটা থানা চত্বরে পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় শিবিরের সন্ত্রাসী সিজু মিয়া। তখন তাকে ধাওয়া করে পুলিশ। পুলিশ থেকে বাঁচতে সন্ত্রাসী সিজু থানা-সংলগ্ন পুকুরে ঝাঁপ দেন। গুপ্ত সংগঠন শিবিরের সন্ত্রাসীদের দাবি, স্থানীয় লোকজন পানিতে পড়ে যাওয়া সিজুকে পেটায়। এতে ঘটনাস্থলেই পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়। সারা রাত তাকে পানি থেকে উদ্ধার না করে সাঘাটা থানা পুলিশ শুক্রবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের সহযোগিতায় পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। স্বজনদের দাবি, পুলিশই পরিকল্পিতভাবে সিজুকে হত্যা করেছে। তারা সিজু হত্যার অভিযোগে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলমসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।