চিরনিদ্রায় শায়িত পাইলট তৌকির

২৩ জুলাই, ২০২৫ | ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

সামরিক মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানো হলো ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামকে। তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে, ঢাকা সেনানিবাসে। এতে তাঁর সহকর্মী ছাড়াও যোগ দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও তিন বাহিনীর প্রধানরা। সোমবার উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনি মারা যান। প্রশিক্ষণের চূড়ান্ত ধাপে একা যুদ্ধ বিমান নিয়ে আকাশে উড়ে ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর। রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয় তার এফ সেভেন বিজিআই ফাইটার জেটটি। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার কুর্মিটোলায় তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তিনবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয় শ্রদ্ধা। জানাজায় অংশ নিয়ে তৌকিরের মামা সবার কাছে দোয়া চান। এদিকে, বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, খোলা জায়গায় ল্যান্ডিংয়ের নিরন্তর চেষ্টার পরেও ব্যর্থ হন পাইলট তৌকির। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, ‘যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বাস করেন না, এটা আমার অনুরোধ। ইঞ্জিনের বিষয়ে আমরা বেশি সতর্ক থাকি। কারণ আমার পাইলটের একটা বিমানে একটা ইঞ্জিন। আমরা ইঞ্জিন নিয়ে কখনও কম্প্রোমাইজ করি না। প্রযুক্তিগত পুরোনো, কিন্তু এই প্লেনে যত ঘণ্টা থাকার কথা তার এক ঘণ্টাও বেশি উড্ডয়ন করি না। উন্নত বিশ্বেও দেখবেন, বড় বড় যেসব যুদ্ধ বিমান আছে, ওগুলোও দুর্ঘটনায় পতিত হয়।’ অন্যদিকে, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পাইলট তৌকিরকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ্য হয়েছে। ঢাকা সিএমএইচের কমান্ড্যান্ট বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস.এম সোলায়মান বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষা করে দেখে যায়, তাঁর ‘সাইন অব লাইফ নেই’। আমরা হাসপাতালে যখন কোনো রোগীর ‘সাইন অব লাইফ’ না পায় তারপরও মিত্যুর ঘোষণা জন্য একটু সময় নেই। ৩০ মিনিটের মতো সময় নিতে হয়।’ নিহত পাইলট তৌকির ইসলাম সাগর মাত্র ছয় মাস আগে বিয়ে করেছিলেন। রাজশাহীতে তৌকিরের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সপুরা কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।