পুড়ে যাওয়া খাতা ঘিরে জারার বেঁচে থাকা না থাকা নিয়ে সংশয়

ক্লাস ওয়ার্কের খাতায় ইংরেজিতে লেখা নাম আসমাউল হুসনা জারা। খাতার কাভারের একটা অংশ পুড়ে যাওয়ায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এই শিক্ষার্থী কোন শ্রেণিতে পড়ে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তবে স্কুল কােডের ঘরে লেখা ২০০৩। এই পোড়া খাতাটি পাওয়া গেছে সোমবার বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া মাইলস্টোন স্কুলের দোতলা ভবনের একটি কক্ষ থেকে। খাতাটি হাতে নিয়ে উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের আবুল বাশার মেয়েটির খোঁজ করছিলেন। তিনি জানেনও না মেয়েটি বেঁচে আছে কি মারা গেছে। অন্তত অভিভাবকের খোঁজ পেলেও খাতাটি পৌঁছে দিতে চান আবুল বাশার। খাতাটি খুলে দেখা গেল, সেটি গণিত বিষয়ের ক্লাস ওয়ার্কের খাতা। ঝকঝকে হাতের লেখায় তারিখ অনুযায়ী প্রতিদিনের ক্লাস ওয়ার্ক লেখা আছে সেখানে। ২১.০৭.২০২৫ তারিখ দিয়ে সোমবারের ক্লাস ওয়ার্কের লেখাও পাওয়া গেল সেখানে। অর্থাৎ দুর্ঘটনার দিনের দুর্লভ স্মৃতি হয়ে আছে আগুনে পোড়া খাতাটিও। এই প্রতিবেদককে আবুল বাশার জানান, অন্য একজন ব্যক্তি খাতাটি উদ্ধার করে তাকে দিয়েছেন। এখন হন্যে হয়ে খাতার মালিককে খুঁজে বেড়াচ্ছেন তিনি। স্কুলের পরিবেশ এখনো স্বাভাবিক না হওয়ায় শিক্ষকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় খাতার মালিককে খুঁজে বের করতে পত্রিকায় একটি রিপোর্ট করার অনুরোধ জানান আবুল বাশার।