ছোটভাই তাশরিফ ফিরলেও না ফেরার দেশে তানভীর

সোমবার দুই ভাই এক সঙ্গে স্কুলে যায়। ছুটির পর তাশরিফ বাসায় ফিরলেও তানভীর থেকে যায় কোচিং ক্লাসের জন্য। দুপুর একটার পর হঠাৎ বিকট শব্দ। মুহূর্তেই আগুন, ধোঁয়া আর চিৎকার। বিমান বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে যায় তানভীরের শরীর। অন্যদের সঙ্গে তাকেও উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হলে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান বিধ্বস্তের খবর পেয়ে তানভীরের পরিবারের সদস্যরা সেখানে ছুটে যান। তাকে না পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে লাশ শনাক্ত করেন। তানভীরের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তানভীর আহমেদ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের নগরভাত (নয়াপাড়া) গ্রামের রুবেল মিয়ার ছেলে। ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে দশ বছর ধরে ঢাকায় বসবাস করেন। তার দুই ছেলেই মাইলস্টোন স্কুলের ছাত্র। তানভীরের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে পুরো গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এলাকায় নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে।