‘এদেশ অভিশপ্ত, আমরাই এই অভিশাপের কারণ’, উপলব্ধি সালমান মুক্তাদিরের

উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এমন ঘটনা নাড়া দিয়েছে দেশবাসীকে। শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও শোক প্রকাশ করেছেন, সমবেদনা জানিয়েছেন, প্রার্থনা করছেন। ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি আত্মোপলব্ধির কথাও লিখেছেন গত জুলাই-আগস্টে সরকারবিরোধী নাশকতায় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও উস্কানিদাতা ইউটিউমার সালমান মুক্তাদির। তিনি লিখেছেন, “আমি চেষ্টা করছি চুপ থাকতে। চেষ্টা করছি সাধ্যমতো সব কিছু বুকের ভেতর চেপে রাখতে। কিন্তু আর পারছি না। এই দেশ অভিশপ্ত। আর এই অভিশাপ কেউ বাইরে থেকে আনেনি- আমরাই একে এনে দিয়েছি নিজেদের জন্য। আমি বারবার বলি, আজ আবারও বলছি- আমরা এমন মৃত্যুই ডিজার্ভ করি, যেগুলো প্রতিদিন আমাদের চারপাশে ঘটছে। হোক তা ভবনধসে চাপা পড়ে মৃত্যু, না হয় ট্রাকের নিচে পিষ্ট হয়ে যাওয়া, বাসের চাকায় মাথা চূর্ণ-বিচূর্ণ হওয়া, নির্মাণযন্ত্র থেকে পড়ে যাওয়া কংক্রিটে প্রাণ হারানো, স্কুলের ওপর ট্রেনিং বিমান ভেঙে পড়ে শিশুদের মৃত্যু, অথবা ভাঙা প্যারাস্যুটে পাইলটের মর্মান্তিক মৃত্যু—এই সবই যেন হয়ে উঠেছে আমাদের দৈনন্দিন বাস্তবতা।” তিনি আরো লেখেন, “আর আমরা? আমরা চুপ থাকি। কারণ এটা তো আমার সাথে হয়নি—এইটুকু ভেবেই সান্ত্বনা নিই। কিন্তু যেদিন নিজের ওপর নেমে আসে, সেদিন আমরা কাঁদি। আফসোস করি। তারপর…চুপ করে আবার আগের জীবনে ফিরে যাই। আমরা মরছি, মরতে থাকব। কারণ আমরা এই দেশটাকে এভাবেই চলতে দিচ্ছি। এমন একটা দেশে বাস করছি, যেখানে কেউ কথা বলে না। আর যারা কথা বলে, তারা একটা সময় পরে ক্লান্ত হয়ে চুপ হয়ে যায়—অবজ্ঞা আর অবহেলায়। তখনই এটা পরিণত হয় একটা চক্রে—একটা অভিশপ্ত চক্রে। একটা সময় আসে, যেখানে কেউ কিছু বলে না। কেউ বলে না, ‘এইবার যথেষ্ট হয়েছে, এবার বদল দরকার। আজ যা ঘটেছে, তা সহজেই এড়ানো যেত।'” তার এই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে অনেকেই তাকে ‘লালবদর’ আখ্যায় জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবার জন্য দায়ী করে জবাব দিয়েছেন।