৭ বছর পর গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হলো বদিকে

সাত বছর আগে এক রাতে কক্সবাজারের টেকনাফে যে ঘটনা ঘটে, তা বদলে দিয়েছিল পুরো দেশের ক্রসফায়ার বিতর্কের ধারা। নিহত হয়েছিলেন জনপ্রিয় স্থানীয় কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ একরামুল হক—তার স্ত্রীর ফোনে রেকর্ড হওয়া করুণ আকুতি কাঁপিয়ে দিয়েছিল সারা দেশের বিবেক। আর আজ, সেই ঘটনার দীর্ঘ সাত বছর পর, একরামের পরিবার ও এলাকাবাসীর বহুল প্রতীক্ষিত এক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন আদালত—ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ঐতিহাসিক আদেশ দেন। মামলার শুনানিতে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম বলেন, ‘একরামুল হককে ২০১৮ সালের ২৬ মে রাতে মোবাইলে কথা বলার সময় র্যাব সদস্যরা গুলি মেরে হত্যা করে। এটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।’