৪৭২ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে গিয়ে দেখলেন ‘প্রেমিকা’ বিবাহিতা

২০ জুলাই, ২০২৫ | ৪:৫৩ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পরিচয়। এরপর প্রণয়। বিয়ে করার চিন্তাও করে রেখেছিলেন প্রেমিক। তাই তো প্রেমিকাকে না জানিয়ে ৪৭২ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে যান তার বাসায়। অতঃপর সেখানে গিয়ে দেখলেন, প্রেমিকা বিবাহিত! বিষয়টিতে অবাক হয়েছেন কথিত প্রেমিকার স্বামীও। খবর ফক্স নিউজের। প্রতিবেদনে মার্কিন গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, বেলজিয়ামের এক যুবক প্রায় ৫০০ মাইল পাড়ি দিয়ে হবু কনের কাছে গিয়ে দেখলেন, তার প্রেমিকা ফ্রেঞ্চ মডেল একজন বিবাহিতা। ওই প্রেমিকার নাম সোপি ভুজেলাউদ। প্রেমিকাকে সারপ্রাইজ দিতে ৪৭২ মাইল গাড়ি চালিয়ে সোপির বাসায় হাজির হন মিচেল নামের ওই প্রেমিক। প্রেমিকার বাসায় গিয়ে তার ৩৮ বছর বয়সি স্বামী ফ্যাবিয়েন বাউন্টামাইনের দেখা পান তিনি। স্ত্রী সোপিকে সঙ্গে নিয়ে ফ্যাবিয়েন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি ভিডিওটি করেছি একজন অপরিচিত যুবকের জন্য, যে কিনা কিছু সময় আগে আমার বাড়ির কলিং বেল চেপেছিলেন। দরজা খোলার পর তিনি বলেন, তিনি নাকি সোপির হুব বর। কিন্তু আমি তো তার বর্তমান স্বামী। একটা ঝামেলা হতে চলেছে।’ ফক্স নিউজ বলছে, মিচেল ওই বাড়িতে আসার কিছু সময় পর সোপির বিরুদ্ধে নিজের অভিযোগও তুলে ধরেন। মিচেল বলেন, ‘আমার ধারণা, সোপি আমার সঙ্গে কোনো নোংরা খেলা খেলেছে।’ জবাবে দরজায় থাকা ফ্যাবিয়েন বলেন, ‘সে আমার স্ত্রী। সে এমনটা করতে পারে না। মনে হয় ভূয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি প্রতারিত হয়েছেন। আপনার আরও সাবধান থাকা উচিত।’ ২০০৭ সালে মিস ফ্রান্স প্রতিযোগিতার প্রথম রানার আপ হন সোফি। এরপর জেতেন মিস লিমুজিন খেতাবও। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে বেশ অ্যাকটিভও তিনি। প্রায়শ ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেন। মিচেলের দাবি, অনলাইনে পরিচয় হওয়া সোপির জন্য তিনি ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করেছেন। তার ভাষায়, ‘সম্পর্কের এক পর্যায়ে সেই সোপি আমাকে জানায়, সে গর্ভবতী হয়েছিল এবং একপর্যায়ে তার তার গর্ভপাত হয়।’ জবাবে ফ্যাবিয়েন বলেন, ‘সোপি এখানেই আছে। আপনার বিষয়টির জন্য আমরা দুঃখিত। সোপি অনেক ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করে। হয়তো সেসব ভিডিও থেকে কেউ ভূয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। আপনার আরও সাবধান থাকা প্রয়োজন।’ দুই পুরুষের কথোপকথনের এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেন সোপি। মিচেলের ঘটনাটি শুনে মর্মাহত হন তিনি। বলেন, ‘আপনার কষ্ট আমার মনকে ব্যথিত করেছে। তথ্য প্রমাণ নিয়ে আপনার পুলিশের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।’