ভিন্ন চরিত্রে আসছেন অপরাজিতা

চোখে তার চিরচেনা হাসিমুখ। পর্দায় আসলেই যেন ছড়িয়ে পড়ে একরাশ ভালোবাসা। তবে এবার ভিন্ন মেজাজে, ভিন্ন চরিত্রে আসছেন অপরাজিতা আঢ্য। প্রথমবারের মতো নেতিবাচক চরিত্রে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। আতিউল ইসলাম পরিচালিত আসন্ন ছবি ‘বানসারা’-তে গৌরিকা দেবীর চরিত্রে হাজির হবেন অভিনেত্রী। তার বিপরীতে পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বনি সেনগুপ্ত। সিনেমার বড় অংশের শুটিং হয়েছে কলকাতা শহর থেকে অনেকটা দূরে, পুরুলিয়ার একটি পাহাড়ঘেরা গ্রামে। ১২ দিনের টানা শুটিং শিডিউলে অপরাজিতার অভিজ্ঞতা ছিল চরম ঠান্ডার মধ্যে কষ্টকর হলেও রোমাঞ্চকর। শুটিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যেখানে শুটিং করতে গিয়েছিলাম, সেখানে কোনো নেটওয়ার্ক ছিল না। ফলে কেউ বিরক্ত করতে পারেনি, এটা বেশ ভালো লেগেছে। তবে ওখানে প্রচণ্ড ঠান্ডা ছিল, সবাই কার্যত জমে যাচ্ছিল। অনেকেই কম্বল জড়িয়ে শুটিং করছিল, আর আমি পাতলা শাড়ি পরে পানিতে ভিজে প্রত্যেকটা দিন রাতভর শুটিং করেছি। মজাই হয়েছে।” প্রথমে এই সিনেমা করতে রাজি না হলেও, পরে চিত্রনাট্য শুনে মুগ্ধ হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন অপরাজিতা। ছবির সেট তৈরি করা হয়েছিল পুরুলিয়ার পাহাড়ের উপর। বানানো হয়েছিল ৪০ ফুট উঁচু একটি দেবী মূর্তি, গ্রামের সব বাড়িঘর রঙ করে সেট তৈরি করা হয়। প্রতিদিন ৬০০-৭০০ জনের দল নিয়ে চলেছে শুটিং। ছবির গল্প গড়ে উঠেছে বানসারা নামের একটি জঙ্গলে ঘেরা গ্রামের প্রেক্ষাপটে। গ্রামের বনদেবীর নামে এই গ্রামের নাম বানসারা। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, কোনো অপরাধ ঘটলে দেবী নিজ হাতে ত্রিশূল দিয়ে অপরাধীকে বধ করেন। দেবীর ইচ্ছা ও আদেশ গ্রামের মানুষদের কাছে পৌঁছে দেন ‘বড়মা’। আর এই বড়মা চরিত্রেই দেখা যাবে অপরাজিতাকে। একাধারে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও গ্রামের রক্ষক হিসেবে নিজেকে দাবি করেন গৌরিকা দেবী। ছবির প্রথম ভাগের শুটিং শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ভাগের শুটিং হবে কলকাতায়। শিগগিরই সিনেমাটি মুক্তির আগে টিজার প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিচালক।