নিউইয়র্কে ‘আরজিবি’ ও ‘সাউদার্ন ব্রিজ’-এর জমজমাট কনসার্ট!

নিউইয়র্ক, ১১ জুলাই: প্রবাসে বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে গেল নিউইয়র্কে। জ্যাকসন হাইটসের জুইশসেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ কনসার্ট ‘আনফরগেটেবল নাইনটিস’, যেখানে অংশ নেয় নিউইয়র্কের নবগঠিতব্যান্ড ‘আরজিবি’ এবং অ্যারিজোনার ব্যান্ড ‘সাউদার্ন ব্রিজ’।অনুষ্ঠানের শুরুতে দর্শকদের চমকে দেন উপস্থাপক মিনহাজ আহমেদ, যিনি হঠাৎ মঞ্চে ডেকে আনেনবাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও টেলিভিশন উপস্থাপক সাজু খাদেম-কে। তিনি স্বভাবসুলভ কৌতুকপূর্ণভঙ্গিতে নব্বই দশকের সঙ্গীতের পটভূমি তুলে ধরেন এবং পরিবেশনায় যুক্ত করেন ব্যক্তিগত স্মৃতির রঙ।
এরপর মঞ্চে আসে ‘আরজিবি’। একটি ইনস্ট্রুমেন্টাল পরিবেশনার পর, ব্যান্ডের লিড ভোকাল টিপু আলম গানেশুরু করেন বিখ্যাত ব্যান্ড সংগীত “মন কী যে চায় বলো” দিয়ে। এরপর একে একে পরিবেশন করেন—
“ভালো লাগে জোৎস্না রাতে”,
“কেন খুলেছে তোমার জানালা”,
“গতকাল রাতে”,
“সুলতানা বিবিয়ানা”,
এবং ব্যান্ডের নিজস্ব মৌলিক গান “ছন্নছাড়া জীবন”, যা দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলে। দ্বিতীয় পর্বে মঞ্চে আসে অ্যারিজোনাভিত্তিক ‘সাউদার্ন ব্রিজ’। ব্যান্ডটির লিড ভোকাল রাশিদুল মনসুর পলাশজনপ্রিয় সব গান পরিবেশন করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
“খুঁজিস যাহারে”,
“রং নাম্বার টেলিফোনে”,
“আগে যদি জানতাম”,
“শ্রাবণের মেঘ”,
“এই নীল মনিহার”,
“আসি আসি বলে” ও
“ওরে সালেকা ওরে মালেকা”।
এরপর ফের মঞ্চে আসে ‘আরজিবি’। উপস্থাপক সাজু খাদেম এ পর্যায়ে গান গেয়ে দর্শকদের আরও চমকে দেন—“সেদিনের এক বিকেলে”। এরপর ব্যান্ড লিডার রবিউল করিম লডি পরিবেশন করেন “রাত দুপুরে”, যা ব্যান্ডেরনিজস্ব গান। লোকসংগীত পরিবেশন করেন মিনহাজ আহমেদ। কনসার্টের শেষ পরিবেশনা ছিল টিপু আলমেরকণ্ঠে আজম খানের দেশাত্মবোধক গান “বাংলাদেশ”। এটি ছিল ‘আরজিবি’ ব্যান্ডের উন্মুক্ত মঞ্চে প্রথম পরিবেশনা এবং ‘সাউদার্ন ব্রিজ’-এর নিউইয়র্কে দ্বিতীয় কনসার্ট। ড্রাম প্যাডে অতিথি হিসেবে অংশ নেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত ব্যান্ড ‘সোলস’-এর সাবেক ড্রামার তুষার রঞ্জন দত্ত।
ব্যান্ড সদস্যদের পরিচয়
আরজিবি:
• লিড ভোকাল: টিপু আলম
• লিড গিটার ও ভোকাল: রবিউল করিম লডি
• বেইজ গিটার ও ভোকাল: মাহাবুবে খোদা রুমি
• পারকাশন ও ভোকাল: মিনহাজ আহমেদ
সাউদার্ন ব্রিজ:
• ভোকাল: রাশিদুল মনসুর পলাশ
• লিড গিটার: মোহাম্মাদ হোসেন সুমন
• কিবোর্ড: রনি চৌধুরী
‘আনফরগেটেবল নাইনটিস’ কনসার্টটি যেন এক সন্ধ্যায় বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের নস্টালজিয়া! সুর, স্মৃতি আর সেন্টিমেন্টে ভরপুর এই আয়োজন দীর্ঘদিন শ্রোতাদের মনে থেকে যাবে—ঠিক যেমনটা প্রতিশ্রুতি ছিল অনুষ্ঠানের নামেই।