জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা

১৬ জুলাই, ২০২৫ | ৫:১১ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দুই শিক্ষক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের তিন শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রদলের হামলার ঘটনায় বিচারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাত ৯টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার এবং প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করে ভবনে তালা দিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ম্যানেজমেন্ট বিভাগে গিয়ে দুই শিক্ষক এবং একই বিভাগের তিন শিক্ষার্থী ও বাগছাস নেতাদের ওপর ছাত্রদলের হামলার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তদের আড়ালে রেখে বাকিদের বিচারের আওতায় আনতে চায় তদন্ত কমিটি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফেরদৌস শেখ বলেন, আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে প্রকাশ্যে। অথচ প্রশাসন হামলাকারীদের নাম প্রকাশ না করে গোপনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে চাচ্ছে, যা একদিকে হাস্যকর, অন্যদিকে সন্দেহজনকও। এর আগে, হামলার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তথ্য সরবরাহকারীর পরিচয় গোপন রেখে তথ্য বা ভিডিও ক্লিপ সংশ্লিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার বরাবর সরবরাহ করার জন্য বলা হয়। গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মারধর করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. একেএম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম রক্ষা করতে গেলে তাদের গালিগালাজ ও হামলা করে ছাত্রদলের নেতকর্মীরা। একইসঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি, মুখ্য সংগঠক ও যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে মো. ফয়সাল মুরাদ, ফেরদৌস হাসান এবং ফারুককে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে তাদের ওপরও হামলা ও মারধর শুরু করে তারা। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদদীন পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারারকে আহ্বায়ক করে উচ্চপর্যায়ের নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি হলো- ১৫ জুলাই সকাল ১০টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে নিরপেক্ষ তদন্ত সম্পন্ন করে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে; হামলায় সরাসরি জড়িত বর্তমান শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে; যেসব অছাত্র এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে; ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে হবে; ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক ট্যাগ ও অপপ্রচারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত হেনস্তা বন্ধে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।