রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আসিয়ান

রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় মিয়ানমারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। পাশাপাশি ব্যস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসনের গুরুত্বও জোর দিতে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা বারনামা জানিয়েছে, ৫৮তম আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সভার (এএমএম) শেষে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে, আসিয়ান বলেছে, ‘রাখাইনের সব সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি ও পুনর্মিলন জোরদার করার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যাপারে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা রাখাইন রাজ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং আইনের শাসন প্রচারে মিয়ানমারের প্রচেষ্টায় আসিয়ানের ধারাবাহিক সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি। আমরা সব সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের এবং বাস্তুচ্যুতদের নিরাপদ, সুরক্ষিত ও মর্যাদাপূর্ণভাবে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের গুরুত্বকে গুরুত্বারোপ করেছি।’ ব্লকটি মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যকার চলমান সহযোগিতা এবং যাচাইকৃত বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবাসনের জন্য গৃহীত দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগগুলোকেও স্বাগত জানিয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আসিয়ানের চলমান সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করছি, বিশেষত প্রাথমিক প্রয়োজন মূল্যায়ন (পিএনএ) অনুযায়ী প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে।’ এছাড়াও, আসিয়ান আশা করছে যে শিগগিরই একটি সমন্বিত প্রয়োজন মূল্যায়ন (সিএনএ) পরিচালনার উপযোগী পরিবেশ তৈরি হবে এবং আসিয়ান মহাসচিবকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় কার্যকরভাবে অবদান রাখার জন্য সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। মালয়েশিয়ার সভাপতিত্বে ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ৫৮তম আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সভা ও সংশ্লিষ্ট বৈঠকের শেষ দিন ছিল শুক্রবার। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘অন্তর্ভুক্তি ও টেকসইতা’। চার দিনের এই সম্মেলনে আসিয়ান ও তাদের বাইরের অংশীদার দেশগুলোর ১,৫০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।