যানবাহনসহ নদীতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো ব্রিজ, নিহত ৯

ফের বড়সড় দুর্ঘটনা গুজরাটে। ব্রিজ ভেঙে নদীতে পড়ল একের পর এক গাড়ি। এই ঘটনা অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় বিজেপিকে অতীত স্মরণ করিয়ে আক্রমণ শানাল তৃণমূল। প্রশ্ন তোলা হল, এটি ‘অ্যাক্ট অফ গড’ নাকি ‘অ্যাক্ট অফ ফ্রড’? জানা গেছে, গুজরাটের মহিসাগর নদীর উপর ভদোদরা ও আনন্দ জেলার সংযোগকারী অত্যন্ত ব্যস্ততম ব্রিজ এটি। বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ গাড়ি চলার সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ব্রিজটি। যার জেরে একাধিক লরি, গাড়ি ও বাইক নদীতে গিয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেতু ভেঙে পড়ার জেরে দুটি ট্রাক, অটোরিকশা ও গাড়ি নদীতে পড়ে যায়। একটি ট্রাক ব্রিজের মুখে আটকে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, দমকলবাহিনী ও ডুবুরি দল। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হলেও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে অনুমান, ব্রিজটি প্রায় ৪৩ বছরের পুরনো। ফলে এমনিতেই দুর্বল ছিল ব্রিজটি। তার উপর গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টি ও নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও প্রশ্ন উঠছে, ব্রিজটি এত পুরনো হওয়া সত্ত্বেও কেন সেটির পরিদর্শন ও মেরামত করা হয়নি। এই ঘটনায় বাংলাকে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অতীতের মন্তব্য তুলে ধরে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ চক্রবর্তী সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘এত বিকাশের চাপ নিতে পারেনি গুজরাট। ইতিমধ্যেই মৃত ৩ জন, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। আচ্ছা একেই কি “না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা” মডেল বলা হয়? এটি ‘অ্যাক্ট অফ গড’ নাকি এটি ‘অ্যাক্ট অফ ফ্রড’? মাননীয় শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদার, অমিত মালব্য এবং শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়। এই নিয়ে একটা পোস্ট হবে নাকি?’ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে রাজ্য নির্বাচনের আগে উত্তর কলকাতায় পোস্তা সেতু ভেঙে পড়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন যে দুর্ঘটনাটি আসলে ছিল, ‘অ্যাক্ট অফ গড’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনী প্রচারের সময় যাঁরা মারা গিয়েছিলেন তাঁদের নিয়ে উপহাস করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে এটি একটি ‘অ্যাক্ট অফ গড’ নয়, বরং ‘অ্যাক্ট অফ ফ্রড’। সেই প্রসঙ্গ তুলেই এবার কটাক্ষ শানাল তৃণমূল।