ভারতীয় পাহাড়ী ঢল, ফেনী ও কুমিল্লায় ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা

৯ জুলাই, ২০২৫ | ৫:১০ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত দশটি স্থান ভেঙে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ধনীকুন্ডা, নোয়াপুর, শালধর এলাকায় তিনটি, ফুলগাজী উপজেলার দেড়পাড়ায় দুইটি, নাপিত কোনায় একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া সিলোনিয়া নদীর মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম গদানগর, জঙ্গলঘোনা, উত্তর মনিপুর দাসপাড়া ও মেলাঘর কবরস্থানের পাশে চারটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অন্তত ১৫ গ্রামের হাজারো মানুষ। সানজিদা আক্তার নামে শহরের একাডেমি এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, গত বছর বন্যার পানিতে বাসার নিচ তলিয়ে যায়। কিন্তু এবারই প্রথম বৃষ্টির পানিতে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। এর আগে শুধুমাত্র বৃষ্টিতে এমন চিত্র কখনো দেখা যায়নি। কিছু জিনিসপত্র সরাতে পারলেও খাবার ও সুপেয় পানি নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভারতীয় পাহাড়ী ঢল ও লঘুচাপের কারণে চলমান বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার প্রবল শঙ্কার কথা জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ শঙ্কার কথা জানান। পোস্টে আবহাওয়াবিদ পলাশ জানান, মঙ্গলবার সারাদিন, রাত এবং বুধবার দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের বেশিরভাগ জেলা এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ওপরে চলমান বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি জেলা এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সব জেলায় ভারি থেকে খুবই ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবল শঙ্কা রয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতরের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল থেকে হওয়া অতিবৃষ্টির কারণে ইতোমধ্যে প্লাবিত হওয়া ফেনী জেলা এবং কুমিল্লা জেলার দক্ষিণ দিকের উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার প্রবল শঙ্কা রয়েছে বলেও জানান আবহাওয়াবিদ পলাশ।