গোলকিপারের ভুলে চারে দুই হলো না ব্রাজিলের

৫ জুলাই, ২০২৫ | ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ম্যাচের শুরুতে কোল পালমারের গোলে চেলসি এগিয়ে যাওয়ার পর ৫৩ মিনিটে এস্তেভাওয়ের গোলে ম্যাচে ফেরে (১-১) পালমেইরাস। ফিলাডেলফিয়ার লিংকন ফিনান্সিয়াল ফিল্ডে দুদলের সেমিফাইনালে ওঠার আরও জমজমাট হয়ে ওঠে। দুদলই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিতে থাকে। কিন্তু ম্যাচের দৈর্ঘ্য ক্রমাগত কমে এলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না কোনো দল। অবশেষে নির্ধারিত সময়ের ৭ মিনিট আগে ডেডলক ভাঙে চেলসি। অনেকটা ‘উপহার’ হিসেবে পেয়ে যায় জয়সূচক গোল। তাতে ২-১ ব্যবধানের জয় পেয়েছে চেলসি। একইসঙ্গে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠেছে এনসো মারেসকার শিষ্যরা। চেলসির জয়সূচক গোলটাকে উপহার বলা যায় কেন? ম্যাচের ৮৩ মিনিটে কর্নার থেকে নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া নেওয়া করে পালমার-এনসো ফের্নান্দেসের পা ঘুরে শেষ পর্যায়ে বক্সের ভেতর বল পান মালো গুস্তো। একটু এগিয়ে বাঁপ্রান্ত থেকে কোনাকুনি শট নিয়েছিলেন চেলসির ফরাসি রাইটব্যাক। গুস্তোর শটটি গোল হওয়ার মতো মনে হয়নি। কিন্তু সেটা পালমেইরাসের আর্জেন্টাইন রাইটব্যাক অগুস্তিন জিয়ায়ের পায়ে লেগে সামান্য দিক বদলে যায়। আর তাতেই গুবলেট পাকিয়ে ফেলেন পালমেইরাস গোলকিপার ওয়েভারতন। অবিশ্বাস্যভাবে শটটা ধরতে পারলেন না ৩৭ বছর বয়সী এ গোলকিপার। ওয়েভারতনের শরীরে লেগে বল চলে যায় জালে। আর চেলসি পেয়ে যায় সেমিফাইনালের টিকিট। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইংলিশ ক্লাবটি লড়বে আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে। গতকাল শুক্রবার রাতে টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে আল হিলালকে একই ব্যবধানে (২-১) হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ফ্লুমিনেন্স। আজ পালমেইরাস জিততে পারলে টুর্নামেন্টের একটি সেমিফাইনাল হতো ব্রাজিলময়। কিন্তু সেটা হতে দিল না চেলসি। শুরু থেকে অবশ্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল ইংলিশ ক্লাবটির হাতে। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে জোরাল শট নিয়েছিলেন পালমার। সেটি বাঁদিকে লাফিয়ে দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন পালমেইরাস গোলকিপার ওয়েভারতন। তবে পালমারকে বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেনি পালমেইরাস। ১৬ মিনিটে ত্রেভো চালোবার বাড়ানো বল বক্সের বাইরে পেয়ে পালমেইরাসের দুই ডিফেন্ডারকে কোনো সুযোগ না দিয়ে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে জালে বল জড়ান ইংলিশ মিডফিল্ডার। পালমারের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাচে ফেরে পালমেইরাস। ৫৩ মিনিটে বক্সের ভেতরের ডানপ্রান্তের দুরূহ কোন থেকে দারুণ এক শটে স্কোরলাইন ১-১ করেন এস্তেভাও। এরপর থেকে ইংলিশ ক্লাবটির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ছিল ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। কিন্তু শেষ দিকে গোলকিপারের ভুলে কোয়ার্টার ফাইনালেই আটকে গেল পালমেইরাসের যাত্রা।