পেহেলগামকাণ্ডের পর মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

২৯ জুন, ২০২৫ | ৪:৪৫ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধটা যেন লেগেই থাকে সব সময়। প্রতিটি আসরের আগেই দেখা দেয় উত্তেজনা। এ দুদল শেষ পর্যন্ত আলোচনার টেবিলে সমঝোতায় এসে মাঠের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে কিনা তাও নিয়ে উঠে প্রশ্ন। ফের যখন আরেকটি এশিয়া কাপ মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায় তখন গুঞ্জনটা আবারও জোরাল হয়েছে যৌক্তিক কারণেই। এ বারের কারণটা সম্প্রতি পেহেলগাম ইস্যুতে দুদেশের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ানো। পেহেলগামকাণ্ডের পর যখন ধারণা করা হচ্ছিল খুব শিগগিরই আর হয়তো দেখা যাবে না পাক-ভারত দ্বৈরথ। তবে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানাচ্ছে উল্টো কথা। এশিয়া কাপ মাঠে গড়ানো ও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আভাস দেওয়া হয়েছে সেই প্রতিবেদনে। ক্রিকেট বিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইটটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুর্নামেন্ট ঘিরে আশার আবহ তৈরি হয়েছে। কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে যে সংঘাত ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, ‘যুদ্ধবিরতির’ পর থেকে তা কিছুটা স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আছে। যদিও এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি; তবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। ক্রিকবাজ জানিয়েছে, এসিসির আশা, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সভা ডেকে ছয় দলের এশিয়া কাপের সূচি চূড়ান্ত করা যাবে। সব ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। নির্দিষ্ট করে বললে, ১০ সেপ্টেম্বর টি–টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপ শুরু হতে পারে। ওয়েবসাইটটি আরও জানিয়েছে, এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত অংশ নেবে। যদিও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৪ এসিসি প্রিমিয়ার কাপের রানার্সআপ ওমান ও তৃতীয় হওয়া হংকংয়েরও টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার কথা। কিন্তু সর্বশেষ খবর, ওমান ও হংকংকে ছাড়াই হয়তো হবে ২০২৫ এশিয়া কাপ। মূল আয়োজক হিসেবে এখনো ভারতের নাম থাকলেও ২০২৩ এশিয়া কাপ ও ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো এবারের এশিয়া কাপও ‘হাইব্রিড মডেলে’ আয়োজনের আলোচনা চলছে। সে ক্ষেত্রে ভারতের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতে টুর্নামেন্ট হতে পারে। আর এবার পুরুষদের এশিয়া কাপেও ভারত–পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্ক সম্প্রচার ১৭ কোটি মার্কিন ডলারে (২০৭১ কোটি টাকা) চার আসরের স্বত্ব কেনার সময় এসিসির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সমঝোতা হয়েছিল যে প্রতিটি আসরে অন্তত দুটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থাকবে। দল দুটি যদি ফাইনালে ওঠে, তাহলে তিনবার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে।