অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ সাধারণ দিন সাদামাটা বিক্রি

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

শুক্র, শনি দুদিনের ছুটির দিন পেরিয়ে রোববার সাধারণ দিনে মেলায় পাঠকের সমাগম মন্দ ছিল না। যারাই এসেছেন তারা বই কিনেছেন। বইমেলায় ঘুরতে আসা মানুষ এদিন কমই ছিল। বইয়ের বিক্রি সাধারণ দিন হিসাবে ভালো ছিল বলেই মন্তব্য করেছেন প্রকাশকরা। অনন্যার প্যাভিলিয়নে বসে অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন জনপ্রিয় লেখক ইমদাদুল হক মিলন। এই প্রকাশনা থেকে প্রকাশ হয়েছে লেখকের আত্মজীবনী ‘যে জীবন আমার ছিল’। ইমদাদুল হক মিলন বলেন, এবার প্রথম থেকেই বইমেলায় বিক্রি ভালো। কারণ করোনা মহামারির গত দুই বছরে সে অর্থে মেলা জমেনি। পাঠকরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। ইমদাদুল হক মিলনের লেখক জীবনের ৫০ বছর পূর্তি এ বছর। আর এ কারণেই আত্মজীবনী বইয়ের প্রকাশ বলেও জানালেন তিনি। ঐতিহ্য প্রকাশনীর চারপাশে পাঠকের সমাবেশ। ঘুরে ঘুরে দেখে শুনে পাঠকরা বই কিনছিলেন। প্রকাশনাটির ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাজল বলেন, সাধারণ দিন হিসাবে বিক্রি মন্দ নয়। তবে বইমেলার মূল বিক্রি শুরু হবে আগামী শুক্র ও শনিবার থেকে। বিকালে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ : হাসান হাফিজুর রহমান’ এবং ‘স্মরণ : হাবীবুল্লাহ সিরাজী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মিনার মনসুর এবং কাবেদুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন শোয়াইব জিবরান, শাহাদাৎ হোসেন নিপু, রুবেল আনছার এবং ওবায়েদ আকাশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এএইচএম লোকমান। আলোচকবৃন্দ বলেন, হাসান হাফিজুর রহমান তার কবিতার মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়কে বাক্সময় করে উপস্থাপন করেছেন। তিনি একটি মুক্ত স্বাধীন-সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন এবং নিজেও সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কঠিন সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র সংকলনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য তিনি আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। অন্যদিকে ষাটের দশকের একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী চিত্রকল্প, উপমা ও কাব্যভাষায় নিজের একটি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করে নিয়েছিলেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত থাকলেও নিরীক্ষাপ্রবণ এই কবি স্বীয় হৃদয়-মননের মূল খোরাক তথা কাব্য রচনায় কখনো ক্ষান্ত দেননি। শনিবার লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন রকিবুল হাসান, রাহাত মিনহাজ, ফেরদৌস নাহার এবং আশিক মুস্তাফা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন বদরুল হায়দার, টোকন ঠাকুর, খাতুনে জান্নাত, আহসান মালেক এবং কাজী আনিসুল হক। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী শিরিন জাহান, মীর মাসরুর জামান রনি এবং অনিমেষ কর। এছাড়াও ছিল শরণ বড়ুয়ার পরিচালনায় গীতি আলেখ্য ‘প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র’, কবিরুল ইসলাম রতনের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘নৃত্যালোক’ এবং ইকবাল হাফিজের পরিচালনায় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘দনিয়া সবুজ কুঁড়ি কচিকাঁচার মেলা’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন ফারহানা ফেরদৌসী তানিয়া, রাজিয়া সুলতানা, মো. মেজবাহ রানা, আবুল কালাম আজাদ, নাফিসা ইসলাম ফাইজা, সুমন চন্দ্র দাস, সুজন হাওলাদার। নতুন বই : চারুলিপি থেকে প্রকাশ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ ফজিলাতুন নেছা আমার মা’, কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশ হয়েছে আনিসুল হকের ‘প্রেরণার গল্প’, চারুলিপি থেকে হাসান আজিজুল হকের ‘বঙ্গবন্ধু তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ’, অনিন্দ্য প্রকাশ থেকে স্বপন নাথ রচির ‘নিসর্গ-নন্দন দ্বিজেন শর্মা’।