হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তত ১২৩ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী নিহত: রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। ভারতের অধিকারভিত্তিক সংস্থা Rights and Risks Analysis Group (RRAG)-এর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, এই সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের অন্তত ১২৩ জন নেতা-কর্মী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নিহতদের মধ্যে ৪১ জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, এবং ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশি হেফাজতে—যার মধ্যে বেশিরভাগই ছিল নির্যাতনের শিকার বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এছাড়াও, আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত দলটির প্রায় ৩৯৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন, যদিও এই পরিসংখ্যান স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে চলমান সহিংসতা ও দমন-পীড়নের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান প্রশাসন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা দেশকে স্থিতিশীলতা এবং নির্বাচনমুখী করতে কাজ করছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ আজ প্রশ্নের মুখে—এই সহিংসতার মূল্য কী দিয়ে তা প্রতিষ্ঠিত হবে, সেই প্রশ্নে দেশ-বিদেশের উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। দস্তগীর জাহাঙ্গীর, সম্পাদক, দ্য ভয়েস নিউজ