শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনটা বাংলাদেশের

সতীর্থ নাজমুল হোসেন শান্তর উদযাপনে যতটা উচ্ছ্বাস দেখালেন নিজের বেলায় ততটা করলেন না মুশফিকুর রহিম। আসিতা ফার্নান্দোর বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করার পর এক হাতে হেলমেট ও অন্য হাতে ব্যাট উঁচিয়ে ঊর্ধ্ব পানে চেয়ে শুধু হাসিটা দিলেন তিনি। সেই হাসিটা মুশফিকের স্বস্তির। কেননা কয়েক মাস ধরেই সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছিলেন তিনি। গত ১৩ ইনিংসে কোনো ফিফটির দেখা পাননি তিনি। সঙ্গে তার বয়সও ৩৮ হওয়ায় এম অফ ফর্মের পরেও কেন অবসর নিচ্ছেন না, এমন সমালোচনাও সহ্য করতে হয়েছে তাকে। তার জবাবটা আজ দুর্দান্তভাবেই দিলেন তিনি। সেটিও প্রিয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই। টেস্ট ক্যারিয়ারে নির্দিষ্ট কোনো প্রতিপক্ষের হিসাব ধরলে সবচেয়ে বেশি রান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই করেছেন মুশফিক। গলের মাঠটাও তার পয়া। কেননা এখানে তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমে কমপক্ষে এক ইনিংসে ফিফটি পেয়েছেন তিনি। এই মাঠেই আবার বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। আজকের আগে মাঝের টেস্টটির দুই ইনিংসে করেছিলেন ৮৫ ও ৩৪ রান। আজ ক্যারিয়ারের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুশফিক। তার থেকে বেশি সেঞ্চুরি শুধু মমিনুল হকের (১৩)। দিনশেষে ১০৫ রানের অপরাজিত ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৫ চারে। গত আগস্টে সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে, ১৯১ রান। তার আগে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি পেয়েছেন শান্ত। বাংলাদেশের অধিনায়ক ১৩৬ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৪ চার ও ১ ছক্কায়। শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। অথচ শুরুটা হয়েছিল ধাক্কা। ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন তারা। প্রথম সেশনের শুরুতেই তিন উইকেট নেওয়া শ্রীলঙ্কার বোলারদের শেষ দুই শেসনে শুধু হতাশাই উপহার দিয়েছেন তারা। চতুর্থ উইকেটে ২৪৭ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েছেন শান্ত-মুশফিক। দুজনের এই জুটিতে ভর করেই ৩ উইকেটে ২৯২ রানে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। প্রথম দিনের সেরা বোলার অভিষিক্ত স্পিনার থারিন্দু রত্নায়াকে। ২ উইকেট নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অফস্পিনার।