প্রেমিকের সন্ধানে যাওয়া তরুণীকে গণধর্ষণ

লাকসামে প্রেমিককে খুঁজতে গিয়ে এক তরুণী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক অটোরিকশাচালক তরুণীর প্রেমিককে খুঁজতে সহায়তা করার কথা বলে কয়েকজন বখাটের হাতে তুলে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। বিষয়টি জানার পর সোমবার রাতে অভিযুক্ত অটোরিকশাচালকসহ তিনজনকে আটক করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার লাকসাম থানায় একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণীর (২০) মামাতো ভাই। সেই মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেফতার তিনজন হলেন- লাকসাম পৌর এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক এনায়েত রহমান ওরফে সাক্কু এবং সাগর ও স্বপন মিয়া নামের দুই ব্যক্তি। তারা ৯ জুন লাকসাম রেলওয়ে জংশনের দক্ষিণ পাশের একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে তুলে নিয়ে ওই তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ভুক্তভোগী পাশের মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি লাকসামে আবুল খায়ের ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। ভুক্তভোগী তরুণীর বরাতে ওসি নাজনীন সুলতানা জানান, ওই তরুণীর সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। ৮ জুন তরুণী তার কথিত প্রেমিককে খুঁজতে লাকসাম বাজারে যান। সেখানে অটোরিকশাচালক এনায়েত রহমানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এনায়েত তাকে লাকসাম শহরে তার প্রেমিককে খুঁজে দেওয়ার আশ্বাস দেন। খোঁজাখুঁজির পর না পেলে ওই রাত ১০টার দিকে তরুণী লাকসাম রেলওয়ে জংশনের দক্ষিণ পাশে প্ল্যাটফর্মে গিয়ে বসেন। তখন রেলস্টেশনের কিছু বখাটে তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকলে এনায়েত তাকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি জানান, বখাটেরা তাদের দুজনকে পরদিন ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত স্টেশনে বসিয়ে রাখেন। এর মধ্যে এনায়েত ওই তরুণীকে স্ত্রী নয় বলে বখাটেদের হাতে তুলে দিতে চান। একপর্যায়ে বখাটেদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তরুণীকে লাকসাম রেলস্টেশন থেকে মারতে মারতে রেললাইনের পূর্ব পাশের পরিত্যক্ত একটি টিনের ঘরে নিয়ে যান। সেখানে এনায়েতের সহায়তায় খোরশেদ, সাগর ও স্বপন নামের তিন বখাটে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী রেললাইন পার হয়ে একটি অটোতে করে তার কর্মস্থলে যান। সর্বশেষ পরিবারের সহায়তায় সোমবার রাতে থানায় এসে বিষয়টি বিস্তারিত জানান। ওসি নাজনীন সুলতানা জানান, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে রাতে লাকসাম থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে এনায়েত, সাগর ও স্বপনকে আটক করে। অভিযুক্ত অন্য ব্যক্তিকে ধরার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আজ মামলা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ভুক্তভোগীকে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।