ডায়াবেটিসে ভারি খাবারের সঙ্গে সালাদ, যা বললেন পুষ্টিবিদরা

সালাদ স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারি। এতে যেসব সবজি ও ফল থাকে, সেগুলো পুষ্টিতে ভরপুর হয়। ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস হলে দুপুর বা রাতের খাবারের সঙ্গে সালাদ রাখা জরুরি। তাতে শসা, পেঁয়াজ, টমেটো থেকে গাজর, মুলা, লেটুস, লেবুর রস সবই যোগ করতে পারেন। সালাদ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, খাবার দ্রুত হজম হবে এবং রোগের ঝুঁকি কমবে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডায়াবেটিসে ভাত-রুটি খাওয়ায় কোনও দোষ নেই। শুধু পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে আর সঙ্গে এক থালা সালাদ নিতে হবে। নিউট্রিশনিস্ট ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, প্রথমত, ভাত-রুটির সঙ্গে সালাদ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায় না। এতে হজম খুব ভালো ও তাড়াতাড়ি হয়। এ কারণেই ডায়াবেটিসের রোগী না হলেও স্যালাড খাওয়া উপযোগী বলে মনে করছেন এ পুষ্টিবিদ। ডায়াবেটিসে সব সময় খাবারের গ্লাইসেমিক সূচক দেখা হয়। অর্থাৎ, যে খাবারে কার্বোহাইড্রেটেডের পরিমাণ বেশি, সেগুলো যত কম খাওয়া যায় তত ভালো। তার মানে ভাত-রুটি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া নয়। এ কার্বোহাইড্রেটেডের সঙ্গে ফাইবার রাখলেই ডায়েট ব্যালান্স হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ ঈশানী। তিনি বলেন, সালাদে ফল ও সব্জি থাকে। এর মধ্যে ফাইবার রয়েছে। ভারি ও কার্বোহাইড্রেটেড খাবারের সঙ্গে ফাইবার রাখলে চট করে সুগার লেভেল বাড়ে না এবং দ্রুত হজম হয়ে যায়। ঈশানী বলেন, থালাকে চার ভাগে ভাগ করে নিন। এক ভাগে রাখুন ভাত বা রুটির মতো কার্বোহাইড্রেটেড, এক ভাগে প্রোটিন এবং বাকি দুই ভাগে ফাইবার রাখুন। এ দুই ভাগের মধ্যে এক ভাগে সালাদ রাখুন এবং আর এক ভাগে সবজির তরকারি। তবে এই নিয়ম শুধু ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য নয়। যে কেউ এভাবে খাবার খেতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, ডায়াবেটিসের রোগী না হলেও রোজের পাতে সালাদ রাখতেই হবে। এতে খাবার যেমন দ্রুত হজম হবে, তেমনই শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ। সাধারণত ভাত-রুটির মতো ভারি খাবারের সঙ্গে সালাদ থাকে। কিন্তু বিরিয়ানি, ফ্রায়েড রাইসের মতো জাঙ্ক ফুডের সঙ্গে সালাদ খাওয়ায় কোনো উপকারিতা নেই বলে জানিয়েছেন ঈশানী। তিনি বলেন, এতে খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ কম হয় না, খাবার দ্রুত হজম হয়।