মে মাসে বিজিবির অভিযানে ১৩৩ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ

১৬ জুন, ২০২৫ | ১০:০২ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে গত মে মাসে অভিযান চালিয়ে ১৩৩ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে বিজিবি। এ সময় মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪৫ জন বাংলাদেশি এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে ৭১৫ জন বাংলাদেশি ও ১০ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে মায়ানমারের ৩৯০ জন নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১৬ জুন) বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজিবি জানায়, জব্দ করা চোরাচালানের মধ্যে রয়েছে ১ কেজি ৫১২ গ্রাম স্বর্ণ, ১০ হাজার ৫৪৪টি শাড়ি, ৫ হাজার ১৪০টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ৩ হাজার ৪৭২টি তৈরি পোশাক, ১৯ হাজার ৩১৪ মিটার থান কাপড়, ২ লাখ ৫২ হাজার ২৯টি প্রসাধনসামগ্রী, ৫ হাজার ৪৪৩টি ইমিটেশন সামগ্রী, ২৪ লাখ ৭১ হাজার ৫৫১টি আতশবাজি, ১৭ হাজার ৫২৩ ঘনফুট কাঠ, ৩ হাজার ১৫১ কেজি চা-পাতা, ৯২ হাজার ৪৮৭ কেজি সুপারি, ৫৩ হাজার ৪০ কেজি চিনি, ২০ হাজার ৪৪২ কেজি সার, ২৯ হাজার ৯৮৫ কেজি কয়লা, ১০০ কেজি সুতা/কারেন্ট জাল, ৩৪১টি মোবাইল ফোনসেট, ১৭ হাজার ৬৫টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৬ হাজার ৫৪০টি ইলেকট্রনিকসসামগ্রী, ১৫,১১২টি চশমা, ৬ হাজার ৫৪৩ কেজি ফল, ৫ হাজার ৯৬০ কেজি ভোজ্য তেল, ১০১০ লিটার ডিজেল/অকটেন, ১ হাজার ৫২৬ কেজি পিঁয়াজ, ৮ হাজার ৮২৬ কেজি রসুন, ২০ হাজার ৬৪২ কেজি জিরা, ১১ হাজার ২৩৬ প্যাকেট বীজ, ৫০ হাজার ১৯১ কেজি ফুচকা, ৯ হাজার ১৭৯ কেজি মাছ, ৫০ হাজার ৬০৩ পিস চিংড়ির পোনা, ৯৩৪ কেজি কফি, ২ লাখ ২৫ হাজার ৩৪৩ পিস চকোলেট, ১ হাজার ১৩১টি গরু/মহিষ, ৪টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১৩টি ট্রাক/কাভার্ডভ্যান, ১৫টি পিকআপ, ৪টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৯২টি নৌকা, ২৬টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৭২টি মোটরসাইকেল ও ২২টি বাইসাইকেল। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি দেশীয় পিস্তল, ৫টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ৯ মিমি পিস্তল, ২টি শট/পাইপ গান, ৫টি ম্যাগজিন, ৪টি ককটেল, ২৪টি গুলি ও ১টি হ্যান্ড গ্রেনেড। জব্দ করা মাদক, নেশাজাতীয় দ্রব্য ও অন্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে ৬ লাখ ২০ হাজার ৯৬৬টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ১০ কেজি ৯৩৫ গ্রাম হেরোইন, ২৩ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১ কেজি ৪১০ গ্রাম কোকেন, ১০ হাজার ৫২১ বোতল ফেনসিডিল, ৮ হাজার ৯৮৩ বোতল বিদেশি মদ, ৭১.২৫ লিটার বাংলা মদ, ৮১৩ বোতল ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৯১৩ কেজি ৬৩০ গ্রাম গাঁজা, ২ লাখ ২৯ হাজার ৬০২ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৩০ হাজার ১১৫টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৫৪ হাজার ৩৪৭ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৫ বোতল এলএসডি, ২০ হাজার ৪৯৩টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৭৩৭টি এমকেডিল/কফিডিল এবং ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬০৪ পিস বিভিন্ন ওষুধ ও ট্যাবলেট।