ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০

১৬ জুন, ২০২৫ | ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে শুরু হওয়া এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পাশাপাশি বাড়িঘর ভাঙচুর ও অন্তত ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ফরদাবাদ গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির দুটি গ্রুপ—রূপসদী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুসা হায়দার ও ফরদাবাদ ইউনিয়নের সাবেক যুবদল সভাপতি সালাউদ্দিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এদিন সকালে মুসা হায়দার এক সালিশ ডাকেন। সালিশে অংশ নিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শিপন তার সমর্থকদের নিয়ে ফরদাবাদ শান্তির বাজারে গেলে সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে শিপন গ্রুপের ১৩ জন এবং সালাউদ্দিন গ্রুপের ৩ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ইমন (২৩), শাহপরান (২৪), শিশু মিয়া (৬০), সোহেল (৩৩), ফারুক (২৫), সাদ্দাম (৩৩), রোহেল (২৫), সালাউদ্দিন (৪৭), মামুন (২৩), সালমা (২৪), আখি আক্তারসহ অন্তত আরও ১০–১২ জন। ঘটনার খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ফরদাবাদ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আধিপত্য নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আহতদের স্বজনদের অভিযোগ, সালাউদ্দিন ও তার অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির নাম ব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজিতে জড়িত। কেউ প্রতিবাদ করলে হামলার শিকার হন। তবে অভিযুক্ত সালাউদ্দিনের পক্ষ থেকে কেউ এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম. এম. ইলিয়াস বলেন, ‘আধিপত্য কিংবা ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আহত সবাই বিএনপির কর্মী। পুরো ঘটনা জেনে পরে মন্তব্য করবো।’