আইএমএফের ঋণের জন্য এবছর আর্থিক খাতে ১২ সংস্কার

৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ৯:১৭ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের ঋণ পেতে কঠোর সংস্কারের শর্ত মেনে নিয়েছে সরকার। রাজস্ব সংগ্রহ, সরকারের ব্যয়, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, মুদ্রানীতি, বিনিময় হার ও আর্থিক খাতের নীতিতে এবছরই ব্যাপক সংস্কার করতে হবে সরকারকে। আগামী অর্থবছরের বাজেটের আগেই রাজস্ব ও ব্যাংক খাতে বেশ কিছু সংস্কার উদ্যোগ নিতে হবে। আর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিতে হবে আরও কিছু সংস্কার উদ্যোগ। বাংলাদেশ সরকার ৪২ মাসের মেয়াদে আইএমএফ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ নিতে যাচ্ছে। আইএমএফের বোর্ড গত ৩০ জানুয়ারি এই ঋণ অনুমোদন করেছে। তার আগে বাংলাদেশ ও আইএমএফ এই ঋণের শর্ত নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করে। বৃহস্পতিবার ঋণের প্রথম কিস্তি ছাড় করেছে আইএমএফ। এরপরপরই বাংলাদেশ সরকার ও আইএমএফের মধ্যে হওয়া সমঝোতা স্মারকের সকল নথি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। সেখানেই ঋণের সকল শর্ত তুলে ধরা হয়েছে। ৬ কিস্তির এই ঋণের দ্বিতীয় পরিশোধ হবে সাত মাস পরে। এজন্য আগামী জুলাই মাসের আগে সরকারকে বেশকিছু সংস্কার কাজ করতে হবে। এসব সংস্কার কাজের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে কর জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর উদ্যোগ। আগামী জুনের মধ্যে কর জিডিপি অনুপাত সরকারকে শুন্য দশমিক ৫ শতাংশ বাড়াতে হবে বা বাড়ানোর উদ্যোগ নিশ্চিত করতে হবে। যা আগামী ২০২৩-২৪ অর্বছরের বাজেটে কার্যকর হবে। একইসঙ্গে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস ও ভ্যাট উইংয়ে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিট স্থাপন করতে হবে। সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর পাশাপাশি ঋণ নেওয়া কমানোরও শর্ত রয়েছে আইএমএফের। আইএমএফ বলেছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া ঋণ কমিয়ে চারভাগের একভাগে নিয়ে আসতে হবে। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম নির্ধারণে সময় নির্দিষ্ট পদ্ধতি চালু করতে হবে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে সুদহারের করিডোর পদ্ধতিতে যেতে হবে। একইভাবে জুনের মধ্যে আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে রিজার্ভের হিসাব শুরু করতে হবে। একইসময়ের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার করতে হবে বাজারভিত্তিক। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে জিডিপির হিসাব প্রকাশ করতে হবে। এই জুনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে ঝুঁকিভিত্তিক সুপারভিশনে যেতে বলেছে আইএমএফ। একইসঙ্গে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধনী নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া জুনের মধ্যে ব্যাংকগুলোর বার্ষিক আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।