পদক প্রাপ্তি নিয়ে সিএ প্রেস উইং এর মিথ্যাচারের পরে এবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত নিয়েও লুকোচুরি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফর ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রথমে কিং চার্লস ফাউন্ডেশনের “হারমনি অ্যাওয়ার্ড” নিয়ে বিতর্কের পর এবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে তার সাক্ষাতের বিষয়টি অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে এই সাক্ষাৎ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এখনো এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সূচি নিশ্চিত করতে পারেনি। ড. ইউনূস বর্তমানে যুক্তরাজ্য সফরে রয়েছেন। তার প্রেস উইং আগেই জানিয়েছিল যে এই সফরে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং কিং চার্লস ফাউন্ডেশনের হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন। এই সপ্তাহের শেষে স্যার কিয়ার স্টারমার এর কানাডা যাবার কথা রয়েছে। জি-৭ সন্মেলনের পূর্বে তিনি কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে পারস্পরিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার জন্য ১৪ জুন সাক্ষাৎ করবেন। এর পরে রয়েছে জি-৭ সন্মেলন, এ বছর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত, কানাডার আলবার্টা প্রদেশের কানানাস্কিসে। এই সন্মেলনে যোগ দেবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। এই পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসের সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের সময় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারন ড ইউনুস বাংলাদেশে ফিরে আসবেন ১৪ই জুন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “স্যার কিয়ার স্টারমার এখন কানাডায় অবস্থান করছেন। ড. ইউনূস ১৪ জুন পর্যন্ত লন্ডনে থাকবেন। এ সময়ের মধ্যে যদি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ফিরে আসেন, তবে সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে।” এই সফর ঘিরে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক উৎসাহ-উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেলেও, সাক্ষাতের অনিশ্চয়তা নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। প্রথমে কিং চার্লস ফাউন্ডেশন-এর পুরষ্কারপ্রাপ্তদের তালিকায় ড ইউনুসের নাম না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশি মিডিয়ায় হারমনি পুরষ্কার প্রাপ্তির ঘোষণা, আর এখন ঢাকঢোল পিটিয়ে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রির সাথে সাক্ষাতের খবর ফলাও করে প্রচারের পরে অনিশ্চিয়তা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কোন নিশ্চয়তা ছাড়াই প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সাক্ষাতকারের বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করেছে বাংলাদেশের মিডিয়ায়। এমন কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভুত প্রচারণা নিয়ে যেমন জনমনে প্রশ্ন উঠছে, ঠিক একইরকমভাবে কূটনৈতিক মহল ব্যাপারটি ভালো চোখে দেখছে না, কারন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে শিডিউল ঠিক না করে শুধু শুধু এতো বিশাল লটবহর নিয়ে যুক্তরাজ্য সফর আসলে কোন অর্থবহন করে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত ১০মাসে এটা ড ইউনুসের ১১তম বিদেশ সফর। ১/২টি সফর ছাড়া কোনটিই একজন রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য কোন অর্থবহ সফর নয় বলে কথিত আছে কূটনৈতিক পাড়ায়।