মাইকিং করে ভোটার ডেকেছে পুলিশ: মির্জা আব্বাস

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১০:১০ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

দেশে ৬টি আসনে উপনির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে কেন্দ্রে ভোটার ছিলেন না। ভোটার ছাড়াই উপনির্বাচন হয়েছে। একটা কেন্দ্রে কেউ যাচ্ছেন না বলে পুলিশ মাইকিং করে ভোটার ডেকেছে। পুলিশের এমন মাইকিং তিনি আগে কখনও শোনেননি। বুধবার (ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কমলাপুরে সিপাহি বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে নীরব পদযাত্রার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা দাবিতে বিকেল সাড়ে ৩টায় কমলাপুর স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে খিলগাঁও মোড় হয়ে মালিবাগ বাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার নীরব পদযাত্রা করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় পথচারী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে দশ দফা দাবি ছাড়াও আগামী ৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের লিফলেট বিতরণ করা হয়। কমলাপুর, মুগদা ও বাসাবো এলাকায় এ সময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এই কর্মসূচিকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল তৎপর। ঢাকা মহানগর বিএনপি ঘোষিত চার দিনের পদযাত্রার শেষ দিনে মহানগর দক্ষিণের কর্মসূচিকে ঘিরে দুপুরের আগে থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে নেতাকর্মীরা প্ল্যাকার্ড, পোস্টার ও ব্যানার নিয়ে এবং জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেতাকর্মীরা হাতে হারিকেন ও হাঁড়ি নিয়ে এতে অংশ নেন। মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির পদযাত্রায় সরকারের ভীত নড়বড়ে হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ নিজেদের পতনের আওয়াজ পেয়ে গেছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তিনি বলেন, 'আমরা যদি চিৎকার করি, আওয়ামী লীগ ভয় পায়। নীরব পদযাত্রাতেও তারা ভয় পেয়ে গেছে। আসলে এই পদযাত্রা আওয়ামী লীগের শবযাত্রার পূর্ব অবস্থা।' বিদ্যুতের দাম বারবার বাড়ানোর সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলছেন, মাসে মাসে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। এটা যেন কারও রাজত্ব, রাজার হুকুম মতো দেশ চলবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, তাঁদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই। বিএনপি রাজপথে থাকবে। পদযাত্রায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু, ডা. রফিকুল ইসলাম, সাইফুল আলম নিরব, রিয়াজ উদ্দিন নসু, মীর নেওয়াজ আলী, মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, মহানগর উত্তরের কাজী আবুল বাশার, ইশরাক হোসেন, নবী উল্লাহ নবী প্রমুখ অংশ নেন।