নগণ্য ভোটে সংসদে ৬ এমপি

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ করা ছয় শূন্য আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তিনটিতে জয় পেয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছেড়ে দেওয়া আসনে 'আওয়ামী লীগের ছায়ায়' থেকে ফের এমপি হয়েছেন আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী একটি করে আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় উপনির্বাচনের ভোট শেষ হয়। ছয়টি আসনেই ভোট হয় ইভিএমে। তবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। ভোট শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল। তাঁর ধারণা, ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচন ঘিরে কোথাও তেমন বড় গোলযোগের খবর পাওয়া হয়নি। শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে র‌্যাব সদস্যদের ওপর ককটেল মারার অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব ফাঁকা গুলিও ছোড়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া 'কলার ছড়ি' প্রতীকে ৪৬ হাজার ৩২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী আবদুল হামিদ খান ভাসানী পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৮০ ভোট। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনের আগে 'নিখোঁজ' হওয়া আবু আসিফ আহমেদ মোটরগাড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩৮ ভোট। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মাত্র ৮৩৪ ভোটে জিতেছেন ১৪ দলীয় জোটের জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন। মশাল প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ২০ হাজার ৪০৫। তাঁর সঙ্গে সমানতালে লড়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। একতারা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। বগুড়া-৬ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু ৪৯ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৬৪ ভোট। এ আসনে হিরো আলম ৫ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-ভোলাহাট-গোমস্তাপুর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জিয়াউর রহমান জয় পেয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি ভোট পান ৯৪ হাজার ৯২৮। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৯৯ ভোট। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে ৪ হাজার ৪০ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। নৌকার প্রার্থী আবদুল ওদুদ পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৬৩৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বহিস্কৃৃত যুবলীগ নেতা সামিউল হক লিটন আপেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৯৮০ ভোট। ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পাটির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৪৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩০৯ ভোট। সিইসির ধারণা, সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে :প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ধারণা করছেন, ছয় আসনের উপনির্বাচনে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোট গণনা শেষে এটি সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে। তিনি বলেছেন, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ভোট শেষ হয়েছে। ভোটে অনিয়মের উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। গতকাল বুধবার উপনির্বাচনে ভোট শেষে রাজধানীতে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি। সিইসি আরও বলেন, ভোটের মাঠে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ নেই- এটা আমি মানতে রাজি না। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে এখন পর্যন্ত যে সহায়তা পেয়ে আসছে, তাতে নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট। সিইসি বলেন, তাঁরা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে থেকে তথ্য নিয়েছেন; টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে নজর রেখেছেন। কয়েকটি জায়গায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। দু-একটি ককটেল বিস্ম্ফোরিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে গোপন কক্ষে ডাকাত দেখা গেছে- এমন সংবাদ গণমাধ্যমে এসেছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, গণমাধ্যমের খবর দেখে তাঁরা ওই এলাকা থেকে তথ্য নিয়েছেন। একটি কেন্দ্রে এক নারী ভোটার তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে বুথে ঢুকেছেন। আরেকটি কেন্দ্রে এক নারী অসুস্থ লোককে ভোট দিতে সহায়তা করতে ভেতরে ঢুকেছিলেন। সিইসি বলেন, 'এগুলো হতে পারে। এগুলোকে আমরা খুব গুরুতর বা ব্যাপক মনে করছি না।' এদিকে ভোটার উপস্থিতি কম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সাধারণত উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থী সরকার গঠন কিংবা পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন না। এ কারণেই উপনির্বাচনে ভোট দেওয়ার বেলায় ভোটারদের মধ্যে এক ধরনের অনীহা কাজ করে। ফলে ভোট কম পড়েছে। এর আগের উপনির্বাচনগুলোতেও এমনটা হয়েছে। তিনি মনে করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে এমন চিত্র থাকবে না। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন করে সরকার গঠন কিংবা সরকার পরিবর্তনের বিষয় থাকবে বলেই ভোটাররা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহী থাকবেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংঘর্ষ-গুলি-ককটেলবাজি :চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে ভোট চলাকালে দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলি ও ককটেল বিস্ম্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একটি কেন্দ্রের সামনে র‌্যাবের ওপর ককটেল নিক্ষেপেরও অভিযোগ ওঠে। পরে র‌্যাবও পাল্টা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। দুটি আসনেই ভোটার উপস্থিতি ছিল খুব কম। তবে সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে শোডাউন ছিল বেশ। স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওদুদ বিশ্বাসের সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটনের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর পর স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটন কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। এ পর্যায়ে দুই প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হাকিমের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটনের হাতাহাতি হয়। দু'পক্ষই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় মাঠে একটি অবিস্ম্ফোরিত ককটেল পাওয়া যায়। এর আগে দুপুরে এই কেন্দ্রের সামনে দুই দফা সংঘর্ষ হয়। দুপুর ২টার দিকে শান্তির মোড়ে ওদুদ বিশ্বাসের সমর্থকদের সঙ্গে লিটনের কর্মীরা সংঘাতে জড়ায়। এতে ছাত্রলীগের নবাবগঞ্জ কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দসহ দু'জন আহত হন। এর আধা ঘণ্টা পর কেন্দ্রের সামনে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা জটলা করলে র‌্যাব সদস্যরা তাদের সরে যেতে বলেন। ওই সময় তারা র‌্যাবের ওপর ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করলে র‌্যাব পাল্টা গুলি চালিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। র‌্যাবের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক রুহ ফিন তাহমিন তৌকির জানান, আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব অন্তত ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানান, বিনা উস্কানিতে তাঁদের ওপর লাঠিপেটা করলে র‌্যাবের সঙ্গে তাঁরা সংঘর্ষে জড়ান। এদিকে দুপুরে কৃষ্ণগোবিন্দা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ছয়টি ককটেল বিস্ম্ফোরণ করা হয়। এতে সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-ভোলাহাট-গোমস্তাপুর) আসনের বেশকিছু কেন্দ্র থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকারের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। বগুড়ায় ভোটের কাজে নিয়োজিতদেরই সংখ্যা বেশি :ভোট বিশ্নেষকরা বলছেন, বগুড়া-৬ সদর আসনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি ছিল কম, এখানে ভোট পড়েছে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ। বগুড়া-৪ আসনে অনিয়ম কিছুটা কম হওয়ায় ভোট পড়েছে ৩০ শতাংশের মতো। দুই আসনের কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভোটারের চেয়ে কেন্দ্রে ভোটের কাজে নিয়োজিতদেরই বেশি দেখা যায়। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ভোট অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। বগুড়া-৬ আসনের শিববাটি হাসনা জাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে প্রথম ভোটটি দেন নৌকার প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু। একই কেন্দ্রে ভোট দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদার রহমান হেলাল। কেন্দ্রটিতে ইভিএমে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ভোট গ্রহণ ১৫ মিনিট দেরিতে শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ করার কথা ছিল। বগুড়া সদরের পল্লী মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রটি ভোটারশূন্য দেখা যায়। একটি র‌্যাব, একটি বিজিবি, একটি টহল পুলিশের গাড়ি ও কেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ ও আনসারদের দিয়ে বিদ্যালয় মাঠভর্তি দেখা যায়। সেখানে পল্লী মঙ্গল বাজারে কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, 'কেন্দ্রে খালি পুলিশ আর র‌্যাবে ভরা, মানুষ ভোট দিবার যাচ্ছে না। আমিও ভোট দিইনি।' কেন ভোট দেবেন না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ভোট দিয়া কী হবি, ওঠবি তো নৌকা।' বগুড়া-৪ আসনের নন্দীগ্রাম উপজেলার বিজরুল কেন্দ্রে ভোট দেন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী জেলা জাসদের সভাপতি রেজাউল করিম তানসেন। তিনি বলেন, উপজেলার সব কেন্দ্রেই ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে। তবে ভোটার উপস্থিতি যেভাবে হওয়ার কথা, তা হয়নি। আসনটির প্রার্থী হিরো আলম সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া-৬ সদর আসনের এরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। এরপর তিনি সদর আসনে আর কোনো কেন্দ্রে যাননি। ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটার একেবারেই কম :ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) আসনের উপনির্বাচনে সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীকে কেন্দ্রমুখী হতে দেখা যায়নি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পীরগঞ্জ বণিক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই সময় পর্যন্ত পুরুষ কেন্দ্রে ২ হাজার ৫৩২ জনের মধ্যে ৫৭০ ভোটার, অর্থাৎ ২২.৫১ শতাংশ; আর নারী কেন্দ্রের ২ হাজার ৬৭২ জনের মধ্যে ২৩৫ ভোটার, অর্থাৎ ৮.৭৯ শতাংশ ভোট দিয়েছেন। বিকেল সাড়ে ৪টায় ভোট শেষ হলে পুরুষ কেন্দ্রের ৯৯৫ জন, অর্থাৎ ৩৯.৩০ শতাংশ ভোটার এবং নারী কেন্দ্রের ৬৬৯ জন, অর্থাৎ ২৫.০৩ শতাংশ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নারী কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গোবিন্দ গোপাল রায় বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম, তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি কিছুটা বাড়ে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, মোট সাতটি বুথে কোনো লাইন নেই। একটি বুথে লাইনে দাঁড়িয়েছেন ৯ জন। পাশাপাশি নারী ও পুরুষ মিলে দুটি কেন্দ্রই পড়েছে এই বিদ্যালয়ে। যেখানে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩ হাজার ২০৭ আর নারী ৩ হাজার ২৩৫ জন। ওই সময় পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। দুপুর ১২টায় ফের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই সময় পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৫ শতাংশ। ওই বিদ্যালয়ের পুরুষ ভোটার কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা স্বাধীন চন্দ্র রায় জানান, ভোটার কম থাকায় যাঁরা আসছেন, তাঁরা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারছেন। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিএনপির ছয় এমপি গত ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে একযোগে পদত্যাগ করলে আসনগুলো শূন্য হয়।