এমপিওভুক্তির ঘোষণা না হলে ঈদের পর কঠোর আন্দোলন

সরকারি প্রতিশ্রুতি মোতাবেক দেশের নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্মিলিত নন এমপিও ঐক্য পরিষদ। বুধবার (০৪ জুন) সকাল ১১টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক পরিষদের উদ্যোগে এক জরুরি ভার্চুয়াল সভায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ সেলিম মিঞা, সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. মনিমুল হক। সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়, ঈদের পরে সপ্তাহের মধ্যে সরকার যদি এমপিওভুক্তির ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ না নেয় তাবে রাজনৈতিক দল, ছাত্রসমাজ, সুশীল সমাজ, অভিভাবকসহ জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সভায় শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করেন, গত ১১ মার্চ শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি চুক্তিতে পৌঁছলেও আজ অবধি কোনো চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি। এতে শিক্ষকরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ। সেলিম মিঞা বলেন, ৭২৮ কোটি টাকা মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষায় বরাদ্দ থাকলেও সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ নেই। এটি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ এবং সরকারের বিমাতাসুলভ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। অধ্যক্ষ বিরুল ইসলাম বলেন, মে মাসের মধ্যে এমপিও কার্যক্রম শেষ করে জুলাই থেকে বেতন কার্যকর হওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনো নীতিনির্ধারক পর্যায়ে কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেই। বহুবার ধরনা দিয়েও প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয়নি। অধ্যক্ষ নাজমুছ সাহাদাৎ আজাদী বলেন, শিক্ষকদের দুর্দশা যেন সরকারের চোখে পড়ে না। আমরা চূড়ান্তভাবে আশাবাদী, অন্তর্বর্তী সরকার সকল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিওভুক্ত করবে। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ ইমরান বিন সোলায়মান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. আব্দুস সালাম, মো. আবতাবুল আলম, মো. মিজানুর রহমান, বাকী বিল্লাহ, প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর মো. এরশাদুল হক, মো. হাবিবুর রহমান ও সুপার মো. ফরহাদ হোসেন।