করজালে নিরুত্তাপ বাজেট

আমেরিকান বিনিয়োগকারী রবার্ট কিয়োসাকির অভিমত- ‘একটি আর্থিক সংকট পেশাদার বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি দুর্দান্ত সময় এবং গড় বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ভয়ংকর সময়’। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ অর্থনৈতিক সংকটে দাঁড়িয়ে প্রথম বাজেট দিতে গিয়ে কিছুটা রবার্ট কিয়োসাকির পথে হাঁটার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কতটা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে পারবেন-তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে কোষাগারের নাজুক পরিস্থিতি উত্তরণে তিনি নজর দিয়েছেন কর ও ভ্যাটে। রান্নাঘরের সামগ্রী, গৃহস্থালি ও প্লাস্টিকের তৈরি পণ্যসহ বেশ কিছুতে চাপিয়ে দেন বাড়তি ভ্যাটের বোঝা। এতে অনেকটা চাপের মুখে পড়বেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। পাশাপাশি সম্প্রসারণ করেছেন করজালের পরিধি। এসি-ফ্রিজসহ বেশকিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর বৃদ্ধি করায় এসব পণ্যে দাম বেশি গুনতে হবে ভোক্তাদের। এছাড়া শিল্প খাতে কর অব্যাহতির সুবিধায় লাগাম টেনে দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। ২০২৫ সালের জুনে যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর অব্যাহতির সুবিধার মেয়াদ শেষ হবে, নতুন করে প্রতিষ্ঠানগুলো এই বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে না। এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে যেসব প্রতিষ্ঠান কর অব্যাহতি পাচ্ছে এবং হ্রাসকৃত হারে কর দেওয়ার সুবিধা ভোগ করছে-এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও বাতিল করা হয়েছে। অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেননি সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে তিনি আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়ন, মার্কিন প্রশাসনের শুল্ক আরোপ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, বিগত মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতি হ্রাসের প্রবণতা দেখা গেলেও তা এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। মার্কিন প্রশাসনের আরোপিত অতিরিক্ত শুল্কের নেতিবাচক প্রভাবও আমাদের অর্থনীতির ওপর পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, সম্প্রতি যে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু করা হয়েছে, তার কোনো নেতিবাচক প্রভাব আপাতত বাজারের ওপর পড়ার সম্ভাবনা না থাকলেও, এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হচ্ছে। এসব ঝুঁকি মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বৈষম্যহীন ও টেকসই ভিত্তি নিশ্চিত করা এখন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এদিকে সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে দেশের অর্থনীতি। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে বেসরকারি খাত এখনো আস্থাহীনতায় ভুগছে। দশ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বিনিয়োগ বিরাজ করছে। ফলে অর্থনীতির গতি মন্থর বা শ্লথ হয়ে আছে। এর মধ্যে বিরাজ করছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। বিনিয়োগ স্থবিরতায় কর্মসংস্থান কমে গেছে সব খাতে, বাড়ছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। কৃষি উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি এখন গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এতে খাদ্য নিরাপত্তাও শঙ্কার মধ্যে। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ব্যাংকের পরিস্থিতি নাজুক। বেড়েছে খেলাপি ঋণের অঙ্ক। এমন পরিস্থিতিতে অনেকটা নিরুত্তাপের মধ্য দিয়ে সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। অন্যান্য বছরের ন্যয় বাজেট ঘোষণাকালে ছিল না জাতীয় সংসদে টেবিল চাপড়ানোর আওয়াজ, প্রবৃদ্ধি বাড়ানো নিয়ে ঢাকঢোল পেটানো। বেলা ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের (টিভি) মাধ্যমে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেটের নানা দিক তুলে ধরেন উপদেষ্টা। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রস্তাবিত ব্যয়ের আকার বাড়েনি, এটি চলতি বাজেটের তুলনায় কম। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদে প্রস্তাবিত বাজেটের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাজেট ঘোষণা দিতে গিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের সময়ে আর্থিক খাতে নজিরবিহীন লুটপাট এবং দুর্নীতির ফলে খেলাপি ঋণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেলেও তা বারবার পুনঃতফশিলিকরণের মাধ্যমে আর্থিক খাতের প্রকৃত অবস্থা গোপন রাখা হয়েছিল। তবে এমন পরিস্থিতিতে আমরা প্রবৃদ্ধির গতি বৃদ্ধির পরিবর্তে অর্থনীতির ভিত মজবুত করার দিকে আমরা অধিক মনোযোগ দিচ্ছি। এ শক্তিশালী ভিতই হবে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের সোপান। প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত আয় সীমা না বাড়লেও ২০২৬-২৭ অর্থবছরে তিন লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা হবে করমুক্ত আয় সীমা। আর বেসরকারি চাকরিজীবীদের করযোগ্য আয় গণনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বাদযোগ্য অঙ্ক সাড়ে চার লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা, ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে টার্নওভার করমুক্ত আয়সীমা ৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা এবং করমুক্ত আয়সীমা থাকবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের এবং জিরো কুপন ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট সার্টিফিকেট হতে প্রাপ্য আয়। রাজস্ব বাড়াতে কর অব্যাহতি সুবিধা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা, করজাল সম্প্রসারণ, বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবায় যথাসম্ভব একই হারে ভ্যাট নির্ধারণ করার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা। আর সেটি বাস্তবায়নে ভ্যাটে নজর বেশি দেন তিনি। প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, হাইজেনিক ও টয়লেট সামগ্রীসহ অনুরূপ যে কোনো পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ৭.৫% থেকে ১৫%, কটন সুতার উৎপাদনের সুনির্দিষ্ট কর প্রতি কেজি ৩ (তিন) টাকার পরিবর্তে ৫ (পাঁচ) টাকা, ‘কৃত্রিম আঁশ এবং অন্যান্য আঁশের সংমিশ্রণে তৈরি ইয়ার্নের উৎপাদন পর্যায়ে প্রতি কেজি ৩ (তিন) টাকার পরিবর্তে ৫ (পাঁচ) টাকা, ব্লেড উৎপাদনে ৫% থেকে ৭.৫%, তারকাঁটা ও টোপকাটাসহ বিভিন্ন প্রকারের স্ক্রু, জয়েন্ট (কানেক্টর), নাট, বোল্ট, ইলেকট্রিক লাইন হার্ডওয়্যার এবং পোল ফিটিংস উৎপাদনে ভ্যাটের হার ৫% থেকে বাড়িয়ে ৭.৫% নির্ধারণ করা হয়েছে। অব্যাহতির সংস্কৃতি পরিহার করতে রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনার, পলিপ্রোপাইন স্টাপল ফাইবারের ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এছাড়া মোবাইল ফোন উৎপাদনে হ্রাসকৃত ভ্যাট হার বাড়ানো হচ্ছে। এতে ইলেকট্রনিক্স শিল্পের সুরক্ষা কমবে, বিদেশি ইলেকট্রনিক্সসামগ্রী আমদানি বাড়বে। পাশাপাশি ক্রেতার খরচ বাড়বে। গ্রামাঞ্চলে ব্যবহৃত সিমেন্ট শিট উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট আছে, এটি বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। স্টিল শিল্পের কাঁচামাল ফেরো ম্যাঙ্গানিজ ও ফেরো সিলিকা ম্যাঙ্গানিজ অ্যালয় উৎপাদনে টনপ্রতি এক হাজার টাকা ভ্যাট আছে, এটি ১ হাজার ২০০ টাকা করা হচ্ছে। ফেরো সিলিকন অ্যালয়ের ভ্যাট দেড় হাজার টাকা করা হচ্ছে। প্রস্তাবি বাজেটে করপোরেট কর বাড়ানো হয়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে আড়াই শতাংশ বাড়িয়ে করপোরেট কর সাড়ে ২৭ শতাংশ, ব্যাংকসহ আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থায় লেনদেনের শর্তে করপোরেট কর ২৫ শতাংশই থাকবে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ২০ শতাংশ করপোরেট কর অব্যাহত থাকছে। পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করা মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার সাড়ে ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ২৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা। এছাড়া পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও লেনদেন বৃদ্ধি উৎসাহিত করতে সিকিউরিটিজ লেনদেনের মোট মূল্যের ওপর ব্রোকারেজ হাউজের উৎসে করহার শূন্য দশমিক ৫% থেকে হ্রাস করে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে প্রকৃত বিক্রয় মূল্যে সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনের লক্ষ্যে জমি হস্তান্তর উৎসে কর বিদ্যমান মূলধনি মুনাফা করহার ৮%, ৬% ও ৪% স্থলে যথাক্রমে ৬%, ৪% ও ৩% করা হয়েছে। এছাড়া সিগারেট প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে অগ্রিম কর ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, প্রধান প্রধান খাদ্যদ্রব্য, সার, বীজ, জীবন রক্ষাকারী ঔষধ এবং তুলাসহ আরও কতিপয় শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে বিদ্যমান শূন্য শুল্কহার অপরিবর্তিত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপের ঘটনায় অনেকটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা। সে প্রস্তুতি হিসাবে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, ৬৫টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস, ৯টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার এবং ৪৪২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ইবতেদায়ি পর্যায়ে বৃত্তি ও মাদ্রাসা এমপিওভুক্তি বাবদ ৭২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য গঠন করা হবে ১০০ কোটি টাকার তহবিল। আগামী অর্থবছরে তারুণ্যের উৎসব উদ্যাপনের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে। এছাড়া বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় আগামী তিন অর্থবছরে আরও ১৫টি শিল্প খাতে নিম্নতম মজুরি নির্ধারণ-পুনঃনির্ধারণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাজেটে নতুন আসছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকছে। বেসরকারি বিনিয়োগ আনতে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে তহবিল হিসাবে আগামী ৫ বছরের জন্য ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসার পরিবেশ তৈরি করে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১২৫ কোটি তহবিল বরাদ্দ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকার স্টার্ট-আপ তহবিল হিসাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়া ব্লু-ইকোনমির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে। জলবায়ু পরিবর্তের ঝুঁকির গভীরতা ও গুরুত্ব বিবেচনায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি : বয়স্ক ভাতার মাসিক হার ৬০০ টাকা হতে ৬৫০ টাকা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের ভাতা ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকায়, প্রতিবন্ধীদের ভাতা ৮৫০ হতে ৯০০ টাকা, মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় প্রদত্ত মাসিক ভাতার হার ৮০০ হতে ৮৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এছাড়া, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য মাসিক ভাতার হার ৬৫০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে পেনশন ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। বাজেট কাঠামো : ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৯ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর মাধ্যমে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস হতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া কর ব্যতীত প্রাপ্তি ৫০ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত ব্যয় : ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়। পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ বাবদ ১ লাখ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ২২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করা হবে। বাজেট ঘাটতি ও অর্থায়ন : সামগ্রিক বাজেট ঘাটতির (অনুদান ব্যতীত) পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬ শতাংশ এবং অনুদানসহ ঘাটতির অঙ্ক ২ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস এবং ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নেওয়া হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে নেওয়া হবে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।