যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কারণে বিশ্বে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে: রাশিয়া

২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৫:১৩ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এর ফলে বিশ্বে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া। কিয়েভকে ট্যাংকসহ ভারি সমরাস্ত্র সরবরাহে মার্কিন ও ইইউভুক্ত কয়েকটি দেশের ঘোষণার পর এমন সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন ইউরোপের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থার (ওএসসিই) রুশ ডেপুটি রাষ্ট্রদূত ম্যাক্সিম বুয়াকেভিচ। তিনি বলেন, আমেরিকার ‘বেপরোয়া নয়া-ঔপনিবেশিক সম্প্রসারণবাদী নীতি’ ইউরোপ এবং সম্ভবত বিশ্বকে একটি ধ্বংসাত্মক সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে ফেলেছে। শুধু বুয়াকেভিচও নন, রুশ শীর্ষ কর্মকর্তারাও হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলছেন, রাশিয়া তার ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্রগুলো এখনও ব্যবহার করেনি। ইউরোপ-আমেরিকা যদি যুদ্ধ আরও বাড়িয়ে তোলে তাহলে সেসব ব্যবহার করতে বাধ্য হবে ক্রেমলিন, যেই বিপর্যয় ঠেকাতে পারবে না কেউ। রুশ সংবাদ মাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ওএসসিইর স্থায়ী কাউন্সিলকে একই সুরে সতর্ক করেছেন বুয়াকেভিচ। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের ন্যাটো মিত্র রাষ্ট্রের নেতারা একটি লাল রেখার কাছাকাছি এসেছেন। ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের ক্রমাগত বৃদ্ধি একটি সর্বাত্মক যুদ্ধে পরিণত হতে পারে যেখানে কেউই বিজয়ী হবে না। মার্কিন এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর কিয়েভে কয়েক ডজন আধুনিক যুদ্ধ ট্যাংক পাঠানোর পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে এই কূটনীতিক বলেন, ওয়াশিংটন এবং তার সহযোগীরা ইউক্রেনে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে সামরিক অচলাবস্থা বাড়াতে’ এবং কিয়েভকে ‘রাশিয়ান জনসংখ্যার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপে’ উসকানি দিচ্ছে। বুয়াকেভিচ বলেন, ইউক্রেনের জন্য নতুন অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলো যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কেবল তাদের ‘রাশিয়ান সেনাদের সঙ্গে সশস্ত্র বিরোধে গভীরভাবে জড়িত। এই সিদ্ধান্তগুলো আরও বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এর ফলে যুদ্ধ আরও তীব্র হতে পারে। এতে কেবলই বেসামরিক হতাহত এবং ধ্বংস বৃদ্ধি পাবে। সামরিক সংঘাত বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদেরকে সরাসরি দায়ী করেন বুয়াকেভিচ। তিনি বলেন, আমেরিকা ও তার মিত্ররাই ইউক্রেনকে রাশিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে উসকানি দিচ্ছে। আর এটি হচ্ছে ইউরোপে পূর্ণাঙ্গ মাত্রার যুদ্ধ শুরুর সোজা পথ। এ ধরনের যুদ্ধ শুরু হলে ইউরোপ মহাদেশের জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সতর্ক করেন রাশিয়ার কূটনীতিক। সূত্র: আরটি নিউজ