এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ‘আচরণবিধি’ তৈরি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৯:৩৭ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য আচরণবিধি তৈরি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জেলা প্রশাসকদের (ভিসি) প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, এটি একটি ভালো প্রস্তাব। এটি নিয়ে কাজ করা হবে। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩ প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষাকে আলাদা করার প্রস্তাব তুলেছেন জেলা প্রশাসকরা। যেহেতু আপনারা (সাংবাদিকরা) সমন্বয়ের কথা বলছেন। প্রাথমিক আর মাধ্যমিকের মধ্যে সমন্বয় করতে বলছেন। অনেক বেশি ভাগ করলে সেই সমন্বয়টা আরও বেশি কমতে পারে। কাজেই এ বিষয়টা নিয়ে আমাদের অনেক আরও ভাবার বিষয় রয়েছে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকরা হাওড় অঞ্চলের ছুটির সময়টা পরিবর্তন করার কথা বলেছেন। এটি নিয়ে আমরা আগে থেকেই কাজ করছি। আমাদের দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ভিন্ন সময়ে বন্যা হয়। অঞ্চলভিত্তিক ঋতুর ভিন্নতা আছে। এটি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষাপুঞ্জী করতে আমরা আগে থেকেই কাজ করছি। শিক্ষা কর্মকর্তাদের পদবি পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটাকে সুস্পষ্ট করে ভাগ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা করতে বলা হয়েছে। আমি মনে করি, এটি খুবই যুক্তিযুক্ত। তবে বিভ্রান্তিটা থাকবে না। শিক্ষাবিষয়ক একটি পূর্ণকালীন টেলিভিশন চ্যানেল চালু করার দাবি জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেটি খুবই যৌক্তিক দাবি। আমরা আপাতত সংসদ টেলিভিশন ব্যবহার করে থাকি। এটি যদি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা টিভি করা যায় তবে অনেক ভালো হয়। এটি নিয়ে কাজ করা হবে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য একটি আচরণ বিধিমালা তৈরির প্রস্তাব করেছেন জেলা প্রশাসকরা। এটি একটি ভালো প্রস্তাব, এটি নিয়ে কাজ করা হবে। তিনি আরও বলেন, কারিগরিতে বয়সের বাধা তুলে দেওয়া, নবম-দশম শ্রেণিতে কারিগরি কোর্স নিয়ে আসার প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমেও আছে। আমরা ৬৪০ বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক দুটি করে ট্রেড চালু করেছি। ইতোমধ্যে আমরা এসব বাস্তবায়ন করেছি বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারে একটি মেরিন বিশ্ববিদ্যালয় করা যায় কিনা- প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ তৈরি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। টেকনিক্যাল স্কুল তৈরির প্রকল্পের কাজ চলছে। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাঠ্যবই নিয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে ভুল, অসঙ্গতি পাওয়া যাবে তা সংশোধন করা যাবে। সেখানে সবাই মতামত দিতে পারবেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসন সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষান্তরের পাঠ্যপুস্তকে ট্রাফিক আইন/সড়ক পরিবহণ আইনের গুরুত্বপূর্ণ ধারা অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অঞ্চলভেদে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং প্রয়োজনসাপেক্ষে জেলাগুলোতে কৃষি ডিপ্লোমা কলেজ স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।