ডিসিরা প্রকল্প বাস্তবায়নে তদারকি ক্ষমতা চান

২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৯:০৭ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

অধিক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে আরও ক্ষমতা চান জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) চেয়ারম্যান করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ইউএনওকে চেয়ারম্যান করা হলে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বিদ্যালয় পরিদর্শন এবং শিক্ষার গুণগত মান বাড়বে। পাশাপাশি ডিসিদের জেলা এবং ইউএনওদের উপজেলার হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি করার প্রস্তাব এসেছে। এতে স্বাস্থ্যসেবায় বিদ্যমান বিশৃঙ্খলা বন্ধ হবে। ডিসি সম্মেলনকে সামনে রেখে এ দুটিসহ মোট ২৪৫টি প্রস্তাব করেছেন বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি এবং ইউএনওরা। আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় শুরু হবে তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগামীকাল সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি এবং ইউএনওদের কাছ থেকে আসা ২৪৫টি প্রস্তাব নিয়ে বিভিন্ন কর্ম-অধিবেশনে আলোচনা হবে। গত বছরের মতো এবারও জেলা প্রশাসক সম্মেলনের মূল ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন। জেলা প্রশাসক সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হারের বিষয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, ২০২২ সালে বাস্তবায়নের হার ছিল ৭৩ শতাংশ। জাতীয় নির্বাচনের আগে এটাই শেষ ডিসি সম্মেলন-এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নির্বাচনের আগে এটাই যে শেষ সম্মেলন সে কথা এখনই বলা যাবে না। বছরে একাধিকবার ডিসি সম্মেলন হওয়ার নজিরও রয়েছে। এছাড়া দেশে যত নির্বাচন হয়েছে সব নির্বাচনেই প্রশাসনের তরফ থেকে সেভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য আমাদের ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতা আছে। সেই ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাব। আমরা নির্বাচনে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করে যাব। ডিসি সম্মেলনের বাজেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সেই তথ্য আমার কাছে নেই। তবে আপনারা নিশ্চিত থাকেন যে আমরা ব্যয় সংকোচন করব। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডিসিরা আবারও সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন তদারকির ক্ষমতা চেয়েছেন। গত বছর একই দাবি উত্থাপন করা হলে তা অনুমোদন করা হয়। তাদের উন্নয়ন প্রকল্প তদারকির ক্ষমতা দিয়ে গত বছর ১৮ জুলাই আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। উন্নয়ন প্রকল্প তদারকির ক্ষমতা প্রদানের প্রতিবাদে প্রকৌশলীদের সংগঠনগুলো সভা-সমাবেশ শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন তদারকির ক্ষমতা বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সরকারি রাজস্ব প্রশাসনের উন্নয়ন বরাদ্দে ডিসিদের আয়-ব্যয়ের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ক্ষমতা দেওয়া হলে বিভিন্ন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করছেন গণপূর্ত ও এলজিইডি বিভাগ। এসব কাজের প্রকল্প গ্রহণ, প্রাক্কলন প্রস্তুত, অনুমোদন, টেন্ডার প্রক্রিয়া ও বাস্তবায়ন কোনোটির সঙ্গেই ডিসি বা তার প্রতিনিধি রাখা হয় না। তাদের খেয়ালখুশিমতো প্রকল্প তৈরি করে নিজেদের মতো করে বাস্তবায়ন করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থ হন তারা। ঠিকাদার কাজ শেষ না করলেও শতভাগ বিল তুলে নিচ্ছে। আবার প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে সরকারের অর্থ অপচয় করা হয় বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। খাসজমি বন্দোবস্তের কবুলিয়ত দলিল বাতিলের ক্ষমতা চেয়ে প্রস্তাব করেছেন জয়পুরহাটের ডিসি সালেহীন তানভীর গাজী। ডিসির ভূমি অধিগ্রহণের খাতের ব্যয়ের আর্থিক ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ময়মনসিংহের ডিসি মোস্তাফিজুর রহমান। স্থানীয় পর্যায়ে সার্ভে অ্যান্ড সেটেলমেন্ট অফিসকে কাজের সুবিধার্থে ডিসি অফিসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন মাগুরার ডিসি মোহাম্মদ আবু নাছের বেগ। সরকারি প্রতিষ্ঠানের নামে অধিগ্রহণ বা বরাদ্দ করা জমি বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে ডিসির অনুমতি নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন গাজীপুরের ডিসি আনিসুর রহমান। জেলায়-উপজেলায় এডিসি ও এসি ল্যান্ডের সরকারি বাড়ি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন কিশোরগঞ্জের ডিসি আবুল কালাম আজাদ। সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ গৃহনির্মাণ ঋণের অঙ্ক ৭৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা নির্ধারণসহ পাঁচটি প্রস্তাব দিয়েছে ডিসিরা। অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত তাদের প্রস্তাবগুলো হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১৫শ টাকা চিকিৎসা ভাতাকে বর্তমান ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয়, চাকরিজীবীদের সন্তানের শিক্ষা ভাতা ৫শ থেকে ১ হাজার টাকায় উত্তীর্ণ করা। এছাড়া যুগোপযোগী করতে বলা হয়েছে সরকারি দাবি আদায় আইন-১৯১৩কে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বক্তব্য রাখবেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। মাঠ প্রশাসনের উদ্ভাবন, সেবা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদেরও বক্তব্য থাকবে। সম্মেলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্ব হলো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডিসিদের মুক্ত আলোচনা। এ পর্বে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা প্রধানমন্ত্রীর সামনে মাঠপর্যায়ের কাজের অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ ও রাজনৈতিক চাপসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরবেন। এসব শুনে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেবেন ডিসিরা। সন্ধ্যায় বিআইসিসিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনের পর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশনগুলো অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও কার্য-অধিবেশনে অংশ নেবে ডিসিরা। কার্য-অধিবেশনগুলোয় সংশ্লিষ্টমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত থাকেন। এবারের সম্মেলনে জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট কিছু প্রস্তাব রয়েছে ডিসিদের। তারমধ্যে অন্যতম হলো-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে পোষ্য কোটা বাতিল। এ কোটা বাতিল করা হলে কম মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হবে। শিক্ষার মান বাড়বে এবং প্রতি পরিবারে চাকরির নীতি সফল হবে। সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় দ্রুত ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব করেছেন ডিসিরা। কারাবন্দিদের ভিডিওকলে আত্মীয়-স্বজনদের কথা বলার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। সরকারি স্বার্থের মামলা পরিচালনার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নরসিংদীর ডিসি আবু নাঈম মোহাম্মদ মারুফ খান। পাশাপাশি খাসজমি সংরক্ষণের জন্য বাজেট বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন গোপালগঞ্জের ডিসি কাজী মাহবুবুল আলম। পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে বিভাগের পরিত্যক্ত বা অব্যবহৃত জমি খাসকরণের প্রস্তাব দিয়েছে ডিসিরা। পৌর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নিরাপত্তাপ্রহরীর পদ সৃজনের প্রস্তাব করেছেন কুমিল্লার ডিসি মোহাম্মদ শামীম আলম। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রাজনীতি থেকে বিরত রাখতে আচরণ বিধিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন ঝিনাইদহের ডিসি মনিরা বেগম। তিনি বলেন, এতে শিক্ষকতা পেশায় থেকে রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহণে শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করা সম্ভব হবে। শিক্ষকতার পাশাপাশি ঠিকাদারি, সাংবাদিকতাসহ একাধিক পেশায় নিয়োজিত থাকার প্রবণতা রোধ হওয়া এবং শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে আন্তরিক হবেন। কিশোরগঞ্জের ডিসি আবুল কালাম আজাদ প্রস্তাব করেছেন, হাওড় অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি যেন ২৫ এপ্রিল থেকে ১২ মে পর্যন্ত কার্যকর করা হয়। বর্তমানে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩ থেকে ১৯ জুলাই এবং প্রাথমিকে ২৮ জুন থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত আছে। কিন্তু ওই সময়ে বর্ষাকাল শুরু হওয়ায় হাওড়াঞ্চলে সে সময়ে নৌকা বা হেঁটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া-আসায় অসুবিধা হওয়ায় সে সময় ছুটি পেলে উপকৃত হবে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের জন্য ২৪ ঘণ্টার একটি সুনির্দিষ্টি শিক্ষা চ্যানেল চালুর প্রস্তাব করেছেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসংক্রান্ত ঊর্ধ্বতন অফিস থেকে জারি করা সব ধরনের পত্রের অনুলিপি ডিসি ও ইউএনওকে দিতে প্রস্তাব করেছেন মাদারীপুরের ডিসি রহিমা খাতুন। নওগাঁর ডিসি খালিদ মেহেদী একটি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব করেছেন। কক্সবাজারে একটি মেরিন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব করেছেন ডিসি শাহীন ইমরান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং নির্দেশনা গ্রহণের পাশাপাশি স্পিকার ও বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ, নির্দেশনা গ্রহণ ও মতবিনিময় করবেন। তাছাড়া সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় বিষয়ক অধিবেশন সংযুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এবার সম্মেলনে ২৬টি অধিবেশন হবে। এরমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য অধিবেশন ২০টি। এছাড়া একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে একটি, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে একটি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে দুটি অধিবেশন হবে। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, সম্মেলনে ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অংশ নেবে। কার্য অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসাবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন। এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন স্বাস্থ্যসেবা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত ২৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এরপর ভূমি মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত প্রস্তাব ১৫টি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত প্রস্তাব ১৩টি, সুরক্ষা সেবা বিভাগসংক্রান্ত ১১টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত প্রস্তাব ১০টি। ডিসি সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলো তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম জোরদারকরণ, ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্ন্যান্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়।