ক্ষণগণনা শুরু, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে

২১ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:০৬ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। ফলে আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে ক্ষণগণনা শুরু হচ্ছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ফেব্রুয়ারির ১৯ বা ২০ তারিখকে ভোটগ্রহণের তারিখ হিসেবে চূড়ান্ত করে ৪ বা ৫ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা হতে পারে। বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৩ এপ্রিল। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান রয়েছে। এতে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। তবে যে সংসদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছে, ওই সংসদের মেয়াদে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হলে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের প্রয়োজন পড়বে না। সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রথম বৈঠকের দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতির মৃত্যু, পদত্যাগ বা অপসারণের ফলে পদ শূন্য হলে শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। জানা গেছে, তফসিল ঘোষণার উপযোগী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইসির পরিকল্পনা ছিল। তবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় সংসদের ছয়টি আসনের উপনির্বাচনের কারণে তারা কিছুটা সময় নিচ্ছে। এক্ষেত্রে ভোটের পর নির্বাচিত এমপিরা শপথ নেওয়ার পরপরই তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তফসিল ঘোষণা হবে। অবশ্য আইন অনুযায়ী এক বা একাধিক সংসদীয় আসন শূন্য থাকলেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আইনগত কোনও বাধা নেই। সর্বশেষ ২০১৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগেও দুটি সংসদীয় আসন শূন্য ছিল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভোটগ্রহণের দিন সংসদের বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত হবেন। ওই সাক্ষাতে স্পিকারের বিভক্তি নম্বরসহ ভোটার তালিকাও যাচাই করা হতে পারে। জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে স্পিকারের সাক্ষাতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে এখনও কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। ফেব্রুয়ারির ৩/৪ তারিখে স্পিকারের সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতের সময় চূড়ান্ত হতে পারে। সাক্ষাতের পর ওইদিন বা তার পরদিন হতে পারে তফসিল। এক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র দাখিল, যাচাই ও প্রত্যাহারের সময় খুব কম দিয়ে সংক্ষিপ্ত তফসিলে ভোট হতে পারে। অবশ্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একক প্রার্থী হওয়ার শতভাগ সম্ভাবনায় নির্বাচন কমিশনকে ভোটে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনই নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। কেবল আনুষ্ঠানিকতার জন্যই ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আতিয়ার রহমান বলেন, আগামী ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে। সেই হিসেবে আমরা ভোটার তালিকা তৈরিসহ প্রাথমিক প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। তবে নির্বাচনের তফসিল হবে এই বিষয়ে কোনও নির্দেশনা আমরা পাইনি। দেশের সংবিধানের বিধান অনুযায়ী প্রণীত ১৯৯১ সালের আইন ও বিধিমালার আলোকে দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মেয়াদ পূর্ণ, মৃত্যু কিংবা পদত্যাগ ও অপসারণের কারণে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়ে থাকে। এর আগে প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেও ১৯৯১ সালের ২ জুলাই সংবিধানের ১২তম সংশোধনীতে পরোক্ষ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান করা হয়। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৮ অনুসারে সংসদ-সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সংবিধান অনুযায়ী ৩৫ বছর তা তারও বেশি বয়সী এবং সংসদ সদস্য নির্বাচনের যোগ্য যেকোনও ব্যক্তিই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। তবে তার মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক ও সমর্থক হিসেবে সংসদ সদস্য থাকতে হবে। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার সময়ও তার সঙ্গে একজন সংসদ সদস্যকে উপস্থিত থাকতে হবে।